রাজধানীতে বিদ্যালয়ে পতাকা টাঙাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রিয়ান বাদশা
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কদমতলীর পলাশপুর আইডিয়াল স্কুলে জাতীয় পতাকা টাঙানোর সময় বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে আসায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

ওই শিক্ষার্থীর নাম রিয়ান বাদশা (১৫)। বাদশা পলাশপুর আইডিয়াল স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়তো।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পর বাদশাহকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনেন ওই বিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক রাশেদ খান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সকাল ১০টার দিকে স্কুলের একজন কর্মচারী জাতীয় পতাকা টাঙাচ্ছিলেন। তখন পতাকার রশিতে গিঁট লেগে যায়। বাদশা ওই কর্মচারীকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসেন।

রাশেদ খান বলেন, স্টিলের খুঁটির সঙ্গে থাকা রশি খুলে তাতে পতাকা টাঙাচ্ছিল বাদশা। এ সময় পতাকার খুঁটিটি হেলে বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে চলে আসে। বাদশা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।

অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে বাদশাকে প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বাদশাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসেন বাদশার ফুফা বুলবুল হোসেন ও ভগ্নিপতি রায়হান মিয়া। তাঁরা জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে বাদশাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছেন। তাঁদের মতে, এ মৃত্যুর জন্য  বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে।

বাদশার শোকার্ত স্বজনেরা বলেন, পতাকা টাঙানোর দায়িত্ব বাদশার ছিল না। তারা স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকদের বিচার দাবি করেন।

পলাশপুর আইডিয়াল স্কুলের পাশে একটি ভাড়া বাড়িতে মা–বাবার সঙ্গে থাকতো বাদশা। বাবা ফারুক মিয়া পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক। তিন বোন, এক ভাইয়ের মধ্যে বাদশা ছিল সবার ছোট। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বনগ্রামে।

বাচ্চু মিয়া বলেন, ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।