আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল হত্যা মামলার আসামি কাউন্সিলর মারুফ কারাগারে
ঢাকার শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম ওরফে টিপু হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মারুফ আহমেদকে (মনসুর) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দা বুধবার এ আদেশ দেন।
আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি মারুফ আহমেদ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে তাঁর জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ২০ জুন মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক ৯ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এর মধ্যে বিদেশে পলাতক দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ নয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
যাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাঁরা হলেন জিসান ওরফে জিসান আহাম্মেদ ওরফে মন্টু ওরফে এমদাদুল হক (৫০), জাফর আহমেদ মানিক ওরফে ফ্রিডম মানিক (৪৫), গোলাম আশরাফ তালুকদার (৬৮), মারুফ আহমেদ মনসুর (৫৭), রিফতি হোসেন (৩৮), সোহেল ওরফে রানা মোল্লা (৪৫), আমিনুল ইসলাম (৩৫), সামসুল হায়দার (৪১) ও কামরুজ্জামান (৬২)। তাঁদের মধ্যে জিসান ও মানিক পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাঁরা বিদেশে পালিয়ে থেকে এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছে পুলিশ। মারুফ আহমেদ এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করায় পলাতক আসামি থাকলেন আটজন।
গত বছরের ২৪ মার্চ রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই সময় ঘটনাস্থলে রিকশায় বসে থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফনান ওরফে প্রীতিও (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় জাহিদুলের স্ত্রী ফারহানা ইসলাম শাহজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। এক বছরের বেশি সময় পর ৫ জুন ঢাকার সিএমএম আদালতে এ মামলায় দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মামলার তদন্ত ও অভিযোগপত্র নিয়ে জাহিদুলের স্ত্রী ফারহানা ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মীরা এ হত্যার সঙ্গে জড়িত। অভিযোগপত্রে যাঁদের নাম এসেছে, তাঁদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।