আগামী বর্ষায় ‘মৃতপ্রায়’ আদি বুড়িগঙ্গায় নৌকাবাইচ হবে: মেয়র শেখ তাপস

আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলে চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস
ছবি: দক্ষিণ সিটির মেয়র

দখল–দূষণে ‘মৃতপ্রায়’ আদি বুড়িগঙ্গার চ্যানেল পুনরুদ্ধার ও দৃষ্টিনন্দন করার কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এ কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আগামী বর্ষা মৌসুমে আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলে নৌকাবাইচের আয়োজন করা হবে।

আজ বুধবার সকালে আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলে চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন, ‘আমরা যে জায়গার ওপর এখন দাঁড়িয়ে আছি, সেটা ভরাট অবস্থায় ছিল। ভরাট অবস্থায় এই জমির ওপরে (স্থানীয় সরকার) মন্ত্রীসহ আমরা এখানে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলাম। তখন মাত্র ৩০ থেকে ৪০ ফুটের সংকীর্ণ একটি খালের মতো অবস্থা ছিল। কিন্তু আজকে আদি বুড়িগঙ্গা তার পূর্বের রূপ ফিরে পেয়েছে। বর্তমানে ৬০০ ফিটের (প্রশস্ততা) ঊর্ধ্বে পুনঃখনন করে আমরা আদি বুড়িগঙ্গাকে পুনরুজ্জীবিত করেছি।’

মেয়র তাপস বলেন, ‘যেহেতু এখন শুষ্ক মৌসুম, সে জন্য পানি কম। ইনশা আল্লাহ আগামী বর্ষা মৌসুমে এখানে পানি টলমল করবে, ভরা থাকবে। বাকি যেটুকু দখল অবস্থায় আছে, সেগুলো দখলমুক্ত হয়ে আদি বুড়িগঙ্গা তার পূর্ণ রূপ ফিরে পাবে। আমরা আশা করছি, আগামী বর্ষা মৌসুমে এখানে নৌকাবাইচসহ বিভিন্ন বিনোদনমূলক কার্যক্রমের আয়োজন করতে পারব। যেটা ঢাকাবাসী উপভোগ করবে, অংশগ্রহণ করবে।’

আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের পুনরুজ্জীবন মানে ঢাকা শহর পুনরুজ্জীবিত হওয়া উল্লেখ করে মেয়র শেখ তাপস বলেন, ‘আমাদের পরামর্শকেরা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। আমরা ৭ কিলোমিটার করে দুই পাশের ১৪ কিলোমিটারে নান্দনিক পরিবেশ, গণপরিসর, হাঁটার পথ ও সাইকেল চালানোর পথ সৃষ্টি করব। এখন পরামর্শকেরা নকশা প্রণয়ন করছেন। আমরা আশা করছি, আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে নকশা প্রণয়ন শেষ হবে। তারপর নতুন সরকার গঠন হওয়ার পরে আমরা একনেকে এটার প্রকল্প পেশ করতে পারব। সে প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আদি বুড়িগঙ্গা একটি নান্দনিক নদীতে রূপান্তরিত হবে।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, অঞ্চল-৩–এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মুনিরুজ্জামান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের; কাউন্সিলরদের মধ্যে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মকবুল হোসেন, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আনোয়ার ইকবাল সেন্টু, ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. নুরে আলম, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ হোসেন, ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সাইদুল ইসলাম এবং সংরক্ষিত আসনের নিলুফার রহমান ও শেফালি আক্তার উপস্থিত ছিলেন।