রাজধানীতে কলেজশিক্ষার্থীসহ তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

মৃত্যুপ্রতীকী ছবি

রাজধানীর বাড্ডা, জুরাইন ও খিলগাঁওয়ে আজ শনিবার পৃথক ঘটনায় তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁরা হলেন কলেজশিক্ষার্থী আনিতা সুলতানা (১৮) এবং রিকশাচালক ইয়াছিন (২২)। ময়নাতদন্তের জন্য তিনজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর এই তিনজনের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসীন গাজী বলেন, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড্ডার সাতারকুল এলাকার একটি বাসা থেকে এক নারীর (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর পরিচয় খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।  

বাড্ডা থানার ওসি জানান, জামাল নামের এক ব্যক্তি স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসাটি ভাড়া নেন। আজ সেই বাসা থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার হলেও জামাল পলাতক রয়েছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।  

এদিকে কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুন নাহার জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে কদমতলীর পূর্ব জুরাইনের বাসা থেকে আনিতা সুলতানার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ছিলেন। আনিতার মামা মীর নুর আলম বলেন, ১০ দিন আগে তাঁর বোনজামাই (আনিতার বাবা) মারা যান। এর পর থেকে বিমর্ষ ছিলেন আনিতা। আজ সকালে তাঁর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া রাজধানীর খিলগাঁও ত্রিমোহনী এলাকার একটি বাসা থেকে রিকশাচালক মো. ইয়াছিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান বলেন, আজ দুপুর ১২টার দিকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ইয়াছিনকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাঁকে বেলা পৌনে তিনটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ইয়াছিনের বাবা আবদুস সাত্তার বলেন, তাঁর ছেলে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। মাঝেমধ্যে সে রিকশা চালাত না। তবে কেন ছেলে আত্মহত্যা করল, সেটি তিনি বুঝতে পারছেন না।