সভায় আইজিপি ছাত্র ও শ্রমিক সংশ্লিষ্ট বিষয়, দুর্ঘটনা, সাম্প্রদায়িক ইস্যু, নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে কোনো মহল যাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করতে না পারে, সে জন্য সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।
সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. আতিকুল ইসলাম রমজান ও ঈদ সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বাজার মনিটরিং, শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন।
আইজিপি বলেন, রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুত করে কেউ যেন বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দ্রব্যমূল্য বাড়াতে না পারে, সেদিকে নজর দিতে হবে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের জন্য মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।
পুলিশপ্রধান বলেন, শিল্পাঞ্চল, বিশেষ করে গার্মেন্টস খাতে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়ে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি না হয়, সে জন্য শিল্প পুলিশকে তৎপর থাকতে হবে। রমজানে বিদ্যুৎকেন্দ্রে যেন কোনো ধরনের নাশকতার ঘটনা না ঘটে, সে জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি। সেই সঙ্গে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি প্রতিরোধে নিয়মিত টহল জোরদার করারও নির্দেশনা দেন আইজিপি।
ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির চলাচল রোধ এবং রাস্তার উভয় পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে বলে জানান আইজিপি।
মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, রমজানে নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ইফতার, তারাবিহ ও সাহ্রির সময় বিশেষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সভায় ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামসহ অন্যান্য অতিরিক্ত আইজিপি, ঢাকায় পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সভায় সব মহানগর পুলিশের কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজি ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।