বনানীতে বহুতল ভবন নির্মাণের চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে রিট

বনানী শেরাটন হোটেল ভবন
ছবি: প্রথম আলো

রাজধানীর বনানীতে সিটি করপোরেশনের জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন ও বোরাক রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেডের মধ্যে চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন আবেদনকারী হয়ে আজ রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন

রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, সিটি করপোরেশনের জায়গায় ১৪ তলা ভবন নির্মাণের জন্য বোরাক রিয়েল এস্টেট (প্রা.) লিমিটেড ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চুক্তিতে করপোরেশনটির মানুষের জনস্বার্থ রক্ষায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা/ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি রয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় ওই চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিটে স্থানীয় সরকার সচিব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং বোরাক রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেডকে বিবাদী করা হয়েছে।

‘সরকারি জমিতে পাঁচ তারকা হোটেল’ শিরোনামে ১ জুন প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এই প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বনানীতে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য উত্তর সিটি করপোরেশন ও বোরাক রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেডের মধ্যে চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর ৪ জুন আবেদন করেন সৈয়দ সায়েদুল হক।

দুদকে আবেদন করার পর দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না দেখে আজ রিটটি করা হয় বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘বোরাক রিয়েল এস্টেটের সঙ্গে চুক্তি ছিল ১৪ তলা ভবন নির্মাণের। ভবনের ৩০ শতাংশ পাবে সিটি করপোরেশন, ৭০ শতাংশ বোরাক। ওই চুক্তি অসম। অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সময়ে ২০০৬ সালে বোরাক রিয়েল এস্টেটের সঙ্গে করপোরেশনের ওই চুক্তি হয়। চুক্তি লঙ্ঘন করে ১৪ তলার স্থলে ২৮ তলা ভবন নির্মাণ করেছে বোরাক। ৩০ শতাংশের মূল্য হিসেবে সিটি করপোরেশনের সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা দাঁড়ায়, অথচ তারা টাকা পায়নি। যে কারণে জনস্বার্থবিরোধী ওই চুক্তির বৈধতা নিয়ে রিটটি করা হয়। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে সোমবার রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।’

আরও পড়ুন