মেট্রোরেলের সুবিধা পুরান ঢাকাবাসীও পাবেন: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

শুক্রবার ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শন করেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীছবি: সংগৃহীত

মেট্রোরেলের সুবিধা পুরান ঢাকাবাসীও পাবেন বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, সদরঘাটের সঙ্গে মেট্রোরেলকে কীভাবে সংযুক্ত করা যায়, সে বিষয়েও চিন্তাভাবনা চলছে। ঢাকা শহরে বসবাসকারী দক্ষিণাঞ্চলবাসী মেট্রোরেলে করে সদরঘাট আসতে পারবেন। এটা অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পারবেন। সমন্বিত উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী।

ঈদযাত্রা পরিস্থিতি দেখতে আজ শুক্রবার ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শন করেন নৌ প্রতিমন্ত্রী। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগে দেখতাম, জায়গা পাওয়ার জন্য যাত্রীরা সকালবেলা এসে লঞ্চে বসে থাকতেন, যদিও রাত আটটায় লঞ্চে ছেড়ে যেত। বর্তমানে সেই অবস্থাটা নেই। আস্তে আস্তে এই পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’ এর পেছনে পদ্মা সেতুই মূল কারণ বলে তিনি মনে করেন।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণে এখন আর সদরঘাটে আগের মতো ধাক্কাধাক্কি নেই উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ বলেন, এখন সদরঘাট থেকে স্বাভাবিকভাবে লঞ্চ চলাচল করছে, যাত্রীরা নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারছেন। আগে গোলাপ শাহ্ মাজার থেকে সদরঘাট পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে যেত। তাই স্পিড বোটে শ্যামপুর থেকে সদরঘাটে আসতে হতো। আর এখন সরাসরি রাস্তা দিয়ে এখানে আসা যায়।

সদরঘাটের কর্মীরা আগে ঘুমাতে পারত না, এখন একটু স্বস্তিতে আছে বলেও মনে করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, নতুন নতুন পন্টুন ও গ্যাংওয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ ধরে রাখার জন্য অনেক লঞ্চমালিক ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করেছেন। কারণ, এই জায়গায় ভালো সার্ভিস দিতে না পারলে মানুষ বিমুখ হয়ে যাবে। যাত্রী সাধারণকে সেবা দেওয়ার জন্য এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ অনেকটা পিছিয়ে ছিল। তাদের তুলে আনার জন্য পায়রা বন্দর করা হয়েছে। কাজেই পদ্মা এবং পায়রা বন্দর দক্ষিণাঞ্চলের চেহারা পরিবর্তন করে দিয়েছে। আগামী দিনে সদরঘাট আরও ফিটফাট হবে।

প্রতিমন্ত্রী সদরঘাটে নৌযান ও ঘাটকর্মীদের মধ্যে ইফতারি বিতরণ করেন।