আহত ১২ জনের কেউ শঙ্কামুক্ত নন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেনফাইল ছবি: প্রথম আলো

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে আগুনে এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ জন ভর্তি আছেন।

আজ শুক্রবার সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, আহত ১২ জনের কেউ শঙ্কামুক্ত নন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জানামতে, এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ১০ জন ভর্তি আছেন। যাঁরা মারা গেছেন, সেটা কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিংয়ের কারণে। এটা বদ্ধ ঘর থেকে বের হতে পারে না, তখন ওই ধোঁয়া শ্বাসনালিতে চলে যায়। (বেইলি রোডের আগুনের ঘটনায় ভুক্তভোগী) প্রত্যেকেরই তা হয়েছে। যাঁদের বেশি হয়েছে, তাঁরা মারা গেছেন। যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁরা কেউ শঙ্কামুক্ত নন।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আজ সকাল পৌনে সাতটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে ফোন করেছিলেন। তিনি বলেছেন, এই দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব করা হবে।

আরও পড়ুন

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ভবনটিতে আগুন লাগে। আগুন নেভানোর পর হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

গতকাল রাতে বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লেগেছে, সেটি সাততলা। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান রয়েছে। তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও রয়েছে খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় হয়। অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে খেতে যান।  

বহুতল ভবনে লাগা আগুন নেভানোর কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। গতকাল রাতের ছবি
ছবি: প্রথম আলো
আরও পড়ুন

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনটি প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার পর তা ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পাশাপাশি ক্রেনের সাহায্যে ভবনের সপ্তম তলা ও ছাদে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের নামিয়ে আনতে থাকেন তাঁরা।

ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।