সিদ্দিকবাজার বিস্ফোরণ: গ্যাসের উৎস খুঁজতে ঘটনাস্থলে সিটিটিসি

সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত বহুতল ভবন পরিদর্শনে যায় ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) একটি দল
ছবি: প্রথম আলো

পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারে বহুতল ভবনে গ্যাস জমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে কোথা থেকে কীভাবে গ্যাস এসে জমে এ বিস্ফোরণ ঘটল, তার উৎস খুঁজতে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) একটি দল আজ সোমবার ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় সেখানে তিতাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান সিটিটিসির কর্মকর্তারা। সিটিটিসির কর্মকর্তারা সেখানে তিতাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে গ্যাসের সংযোগ লাইন নিয়ে কথা বলেন। পরে সিটিটিসির তদন্ত দল স্থানীয় কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে গ্যাসের সংযোগ লাইন খুঁড়ে দেখেন।

পরে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেন সিটিটিসির উপকমিশনার মিশুক চাকমা। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আমরা এখন গ্যাসের উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’ তিনি বলেন, ‘একসময় ওই ভবনে নিচতলায় বাণিজ্যিক গ্যাসের সংযোগ ছিল। পূর্বের গ্যাস–সংযোগ থেকে গ্যাস জমেছিল কি না,সেটা দেখতে মাটির নিচের গ্যাস–সংযোগ খুঁড়ে দেখছি। এরপর আরও স্পষ্টভাবে বলা যাবে।’

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্যাস–সংযোগের সব কটি লে–আউট পেলে তদন্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ হবে। তদন্ত শেষে ভবনের বিষয়ে মতামত দেওয়া হবে।

সিদ্দিকবাজারের বিধ্বস্ত ভবন পরিদর্শনে সিটিটিসি ও তিতাসের কর্মকর্তারা
ছবি: প্রথম আলো

ঘটনাস্থলে এসে তিতাসের প্রকৌশলী মশিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, তিতাস গ্যাসের সংযোগ লাইনের কোনো ছিদ্র পাওয়া যায়নি। তাঁদের ধারণা, শৌচাগারের লাইন থেকে গ্যাস জমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, ভবনটির নিচে একসময় বাণিজ্যিক গ্যাসের লাইন ছিল। ২০০০ সালের দিকে সেটি বন্ধ করে আবাসিক গ্যাস–সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ভবনের নিচতলা থেকে তিনতলা পর্যন্ত কোনো গ্যাসের সংযোগ নেই।

আরও পড়ুন

তিতাস সূত্র জানায়, ভবনের চার, পাঁচ ও ছয়তলায় দুটি করে গ্যাস–সংযোগ রয়েছে। আর সাততলায় রয়েছে একটি সংযোগ। সূত্রটি আরও বলছে, যদি তিতাস গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হতো, তাহলে সংযোগ লাইন এ রকম অক্ষত থাকত না।

গত ৭ মার্চ বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানের বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে কুইন স্যানিটারি মার্কেট হিসেবে পরিচিত সাততলা ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ভবনটির বেজমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা অনেকটা ধসে যায়। দুই পাশ লাগোয়া দুটি ভবনের কিছু অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণে মারা গেছেন ২৬ জন।

আরও পড়ুন