মেট্রোরেল দুর্ঘটনা: তদন্ত কমিটি গঠন, ক্ষতিপূরণ পাবে নিহত ব্যক্তির পরিবার
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ার কারণ অনুসন্ধানে একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। বিয়ারিং পড়ে নিহত যুবকের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই যুবকের লাশ দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ার ঘটনা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এ ঘটনাটা কি নাশকতা, নাকি নির্মাণত্রুটির কারণে হয়েছে, সেটা খুঁজে বের করতে সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পাঁচ সদস্যের এ কমিটিতে থাকছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ড. এ বি এম তৌফিক হাসান, এমআইএসটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাহিদুল ইসলাম, ডিএমটিসিএল-এর লাইন-৫-এর প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব। উপসচিব আসফিয়া সুলতানা কমিটিতে সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
এই কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরেও ফার্মগেটে মেট্রোরেল লাইনের পিলারের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল। এবারের কমিটি আগের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনও পর্যালোচনা করবে জানিয়ে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির বলেন, কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত আবুল কালাম (৩৫) এক সময় প্রবাসে থাকতেন। তাঁর বাড়ি শরীয়তপুরে। খামারবাড়ির পাশের ফুটপাত দিয়ে চলার সময় তাঁর ওপর ভারী ওই বস্তুটি পড়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এই মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ নিয়ে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির বলেন, নিহত আবুল কালামের দাফনকাফনের সব ব্যবস্থা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ করবে। তাঁর পরিবারকে ৫ লাখ টাকার অর্থসহায়তা দেওয়া হবে। ওদের পরিবারে যদি কর্মক্ষম কেউ থেকে থাকে, তাহলে যোগ্যতা অনুযায়ী তাকে মেট্রোরেলে চাকরি দেওয়া হবে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিয়ারিং খুলে পড়ার পর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এই বৈদ্যুতিক ট্রেন চলাচল ১১ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। এবার কয়েক ঘণ্টা মেট্রোরেল চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। এরপর আগারগাঁও থেকে উত্তরা পর্যন্ত চালুর ব্যবস্থা হয়েছে। তবে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু কখন হবে, তা এখনো জানানো হয়নি।