ফরিদা পারভীনকে সংবর্ধনা, লোকগানের আসর

সাংস্কৃতিক সংগঠন লোকাঙ্গনের এক যুগ পূর্তি অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ঢাকা, ১৮ মেছবি: সংগৃহীত

লোকগান, সংবর্ধনা আর আলোচনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হলো সাংস্কৃতিক সংগঠন লোকাঙ্গনের এক যুগ পূর্তির অনুষ্ঠান। শনিবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল সন্ধ্যা ছয়টায়।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল আলোচনা ও বিশিষ্ট শিল্পী লালনকন্যাখ্যাত ফরিদা পারভীনের সংবর্ধনা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শারমিন জাহান। আলোচনায় অংশ নেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সহসভাপতি শিল্পী বিশ্বজিৎ রায় ও বাংলা একাডেমির পরিচালক তপন বাগচী। সভাপতিত্ব করেন লোকাঙ্গনের সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র শীল, স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন।

সংবর্ধনা পর্বে শিল্পী ফরিদা পারভীনের হাতে পুষ্পস্তবক, ক্রেস্ট ও উপহার তুলে দেন সংগঠনের সভাপতি ও অতিথিরা।

আলোচকেরা বলেন, ইদানীং দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভের জন্য অনেকেই লোকগানের মূল কথা ও সুর বিকৃত করে পরিবেশন করে থাকেন। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু লোকাঙ্গন দীর্ঘদিন থেকে শুদ্ধ বাণী ও সুরে লোকগানের চর্চা করে আসছে। এ ছাড়া প্রতিবছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তারা দেশের একজন গুণী শিল্পীকে সংবর্ধনা দিয়ে আসছে, যা প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

ফরিদা পারভীন বলেন, লোকগানের বাণী ও সুর বিকৃত করার অধিকার কারও নেই। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ায় লোকাঙ্গনের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

পরে গানের পালা শুরু হয়েছিল সমবেত কণ্ঠে ‘নোঙর ছাড়িয়া নায়ের’ ও ‘ধন্য ধন্য বলি তারে’ গান দুটি দিয়ে। একক ও দলীয় সংগীত দিয়ে সাজানো হয়েছিল এই পর্ব। একক গান শুনিয়েছেন শিল্পী ফরিদা পারভীন। গেয়েছেন শেখ হেমায়েত, নারায়ণ চন্দ্র শীল, রহমতুল্লাহ, মো. শামীম হোসেন, তামান্না নিগার তুলি, নিপা সরকার, পার্থ প্রতিম বিশ্বাস, অর্পিতা সরকার ইমু, ফরিদুল হক, মৌমিতা মুর্মু, কালীপদ শীল, অমৃত বারুরী, সৃজিতা সরকার, সাদিয়াতুত তাইয়্যেবা, আদ্রিকা সরকার, সাত্বিক সরকার, সম্প্রীতি সরকার, এরশাদুর রহমান, খালেদ বিন আনসারী, উম্মে আইমান, সুস্মিতা সাহা, শ্রাবণী দাস, প্রত্যাশা দাস, অঙ্কিতা সাহা চৌধুরী, আলফী শাহরিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আজহারুল ইসলাম।