বিবিখানা, জামাই আদর, ডিম সুন্দরী, ক্ষ্যাতাপুরী, ক্ষীর পাটিসাপটা, নারকেল গুড়ের পুলি পিঠা—এমন বাহারি সব নাম আর বৈচিত্র্যময় স্বাদের পিঠা নিয়ে চলছে জাতীয় পিঠা উৎসব।
গত বুধবার থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে এ উৎসব। ১১ দিনের এ উৎসবে অংশ নিয়েছেন দেশের বিভিন্ন জেলার পিঠা তৈরির কারিগরেরা। তাঁরা নিয়ে এসেছেন দেশের ঐতিহ্যবাহী সব পিঠা।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় চলছে এ মেলা। পারিবারিক ঐতিহ্যগতভাবে যাঁরা পিঠা তৈরি করেন, সেই শিল্পীদের নিয়ে ৫০টি স্টল স্থান পেয়েছে এবারের জাতীয় পিঠা উৎসবে। লুপ্তপ্রায় পিঠাকে বংশপরম্পরায় যাঁরা ধরে রেখেছেন, তাঁদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। উৎসবে একটি স্টলে দুজন করে শিল্পী এক দিনের জন্য অংশ নিতে পারছেন। মূল্যায়ন কমিটি পিঠার গুণমান, ভিন্নতা ও স্বাদ যাচাই করে নম্বর দেবে। এভাবে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়জন পুরস্কৃত হবেন। পার্বত্য এলাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন নগরের নানা ধরনের আদি পিঠা স্থান পেয়েছে এসব পিঠার দোকানে।
খেজুর গুড়ের পিঠা, সাংগ্রাই মুং, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কলাপাতার পিঠা, কালো বিন্নি চালের পায়েস, চালের ছোট রুটির সঙ্গে সবজি, ছিটা পিঠাসহ নানা ধরনের আদি পিঠার পসরা নিয়ে বসছেন শিল্পীরা। এ উৎসবের সঙ্গে চলছে সাংস্কৃতিক আয়োজন।
রাজধানীর পাশাপাশি দেশের অন্যান্য জেলায়ও চলছে পিঠা উৎসব। জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় উৎসবগুলো হচ্ছে অঞ্চলভিত্তিক পিঠাশিল্পীদের অংশগ্রহণে। তবে জেলাভিত্তিক পিঠা উৎসব শেষ হচ্ছে আজ শুক্রবার।
রাজধানীর জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে পিঠা উৎসব চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে শুরু হয়ে এ উৎসব চলছে রাত ৮টা পর্যন্ত।