বিমানবন্দরে শাটল বাসসেবা চালু করল বিআরটিসি

বিমানবন্দরের ক্যানোপি-২ আগমনী হলের সামনে প্রাথমিকভাবে দুটি শাটল বাসের উদ্বোধন করা হয়ছবি: সংগৃহীত

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ থেকে নামা যাত্রীদের জন্য শাটল বাসসেবা চালু করেছে সরকারের পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি।

সেবাটি চলবে বিমানবন্দর টার্মিনাল-২, বিমানবন্দর গোলচত্বর, উত্তরা জসীমউদ্‌দীন রোড, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩, বিমানবন্দর গোলচত্বর ও বিমানবন্দর টার্মিনাল-২–এর মধ্যে।

আজ বুধবার বিমানবন্দর এলাকায় এই সেবার উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ক্যানোপি-২ আগমনী হলের সামনে প্রাথমিকভাবে দুটি শাটল বাসের উদ্বোধন করা হয়।

বিমানবন্দরে কোনো যাত্রীর জন্য অপেক্ষমাণ গাড়ি না থাকলে তাদের হেঁটে বাস বা ট্রেন ধরতে হয়। এ বিড়ম্বনা দূর করতেই শাটল বাসসেবা চালু করা হয়েছে বলে বিআরটিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এই বাসগুলোতে লাগেজ রাখারও জায়গা রাখা হয়েছে।

বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এই বাসগুলো পুরোনো। সেগুলো বিআরটিসির নিজস্ব কারখানায় মেরামত করে নামানো হয়েছে। চাহিদা বৃদ্ধি পেলে নতুন আরও বাস শাটলসেবায় যুক্ত করা হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানসহ বিআরটিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

প্রথমত আয়নায় নিজের চেহারা দেখা উচিত

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতি বিশ্বজুড়েই ছড়িয়ে পড়েছে। এটা বাংলাদেশে বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় নয়। এখানে দুর্নীতি নেই, এমন দাবি সরকার করছে না। আর দুর্নীতি যে সরকারি কর্মকর্তারা করে আর রাজনীতিবিদেরা করে না, এটা তো বলা ঠিক নয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘আমরা যখন কথা বলি, আমি সবার কথাই বলছি। আমাদের প্রথমত আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখা উচিত। আমি আমলাদের করাপশনের বিরুদ্ধে বলছি। আর আমার এখানেও তো করাপশন আছে। নেই? অবশ্যই আছে। আমি মনে করি এখানে দুদক আছে। আর দুদক একেবারে জিরো টলারেন্সের নীতিতে অটল ও দুদক স্বাধীন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতি যেই করুক, সরকারের শূন্য সহনশীলতা (জিরো টলারেন্স) নীতি বজায় রয়েছে। যেকোনো দুর্নীতি তদন্ত করার অধিকার আছে দুদকের। এ স্বাধীনতায় সরকার কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি এবং করবেও না।