ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার খাদিজাসহ সবার মুক্তি দাবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও এ আইনে গ্রেপ্তার সবার মুক্তি দাবিতে ছাত্র সমাবেশ। আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে
ছবি : প্রথম আলো

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ‘গদির নিরাপত্তা আইন’ বলে আখ্যায়িত করেছে গণতন্ত্র মঞ্চভুক্ত ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুক্তিকামী মানুষ যাতে কথা বলতে না পারে, সে জন্য বর্তমান সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তৈরি করেছে। এটি কোনো স্বাধীন দেশের আইন হতে পারে না। এই আইন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। এই আইনে গ্রেপ্তার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী খাদিজাতুল কুবরাসহ সব ব্যক্তিকে মুক্তি দিতে হবে।

আজ রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক ছাত্র সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চভুক্ত ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতারা এসব কথা বলেন। শিক্ষা, কাজ ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় দুর্বার ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও খাদিজার মুক্তির দাবিতে যৌথভাবে এই সমাবেশের আয়োজন করে মঞ্চভুক্ত ছাত্রসংগঠন ছাত্র ফেডারেশন (গণসংহতি আন্দোলন), নাগরিক ছাত্র ঐক্য  (নাগরিক ঐক্য) ও ছাত্রলীগ (জেএসডি) এবং ভাসানী অনুসারী ছাত্র পরিষদ (ভাসানী অনুসারী পরিষদ)।

ছাত্র সমাবেশে ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে বর্তমান সরকারের ‘গদির নিরাপত্তা আইন’ বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আইনমন্ত্রী বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কার করা হবে। আমরা বলতে চাই, যে আইন মানুষের কণ্ঠ রোধ করে, তা দমনমূলক ও নির্যাতনমূলক। ফলে এই আইন সংস্কার নয়, বাতিল করতে হবে।’

বর্তমান সরকারের পতন ঘটাতে পারলে দেশে আর কোনো সমস্যা থাকবে না বলে মন্তব্য করেন নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মোশারফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আজকে ১০ মাস ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী খাদিজা কারাগারে আছেন। তাঁর প্রকৃত বয়স ১৭ বছর হলেও দেখানো হচ্ছে ১৮। এই সরকারের পক্ষে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। আমরা বলতে চাই, ছাত্রসমাজ খাদিজার পাশে আছে। শিগগিরই আমরা সব ছাত্রসংগঠনকে নিয়ে গণ আন্দোলনের ডাক দেব। এই সরকারের পতন হলে দেশে আর কোনো সমস্যাই থাকবে না।’

ভাসানী অনুসারী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আহমেদ শাকিল বলেন, বর্তমান সরকারের দুঃশাসন-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুক্তিকামী মানুষ যাতে কথা বলতে না পারে, সে জন্য এই সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তৈরি করেছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কোনো স্বাধীন দেশের আইন হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন ছাত্র ফেডারেশনের অর্থ সম্পাদক ফারহানা মুনা।

ছাত্রলীগের (জেএসডি) সভাপতি তৌফিক-উজ-জামান পীরাচার সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারা নির্যাতিত রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সদস্য প্রীতম দাশ, ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন। সমাবেশের পর একটি বিক্ষোভ মিছিলও করেন গণতন্ত্র মঞ্চের ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতারা।