বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ, আটক কয়েকজন

বেইলি রোডে আগুনে পুড়ে যাওয়া গ্রিন কোজি কটেজ ভবন। গতকাল শুক্রবারের ছবিছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সালমান ফার্সী প্রথম আলোকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বেইলি রোডের আগুনের ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে আগুনের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।

পুলিশ–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বেইলি রোডের আগুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ডিএমপি গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনটিতে থাকা চুমুক নামের একটি খাবার দোকানের দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান এবং কাচ্চি ভাই নামের আরেকটি খাবারের দোকানের ব্যবস্থাপক জয়নুদ্দিন জিসানকে আটক করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে আগুন লাগে। গতকাল পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ১১ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁরা কেউ ‘শঙ্কামুক্ত’ নন। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে।

বেইলি রোডের ভবনের এই জায়গায় হয়তো খাবারের টেবিল-চেয়ার ছিল। আগুনে পুড়ে গেছে সব। গতকাল শুক্রবারের ছবি
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ
আরও পড়ুন

পুলিশ বলেছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৮ শিশু। তাঁদের মধ্যে ৪৩ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। ৪০ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন