কক্সবাজারে পুষ্টির কাজে আপাতত না

মারাত্মক অপুষ্টির শিকার শিশুদের চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালের প্রস্তুতি মূল্যায়ন জরিপের ফলাফল প্রকাশ হয় আজ

কক্সবাজারে কাজ করতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা এনজিওদের আগ্রহ বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেছেন, কক্সবাজারে পুষ্টির উন্নতিতে কাজ করতে চাইলে কোনো এনজিওকে তিনি অনুমতি দেবেন না। কারণ, সেখানে অনেকে কাজ করছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে কাজের দ্বৈততা আছে।

আজ সোমবার সকালে রাজধানীর একটি পাঁচতারা হোটেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কথা বলেন। মারাত্মক অপুষ্টির (সিভিয়ার একুউট ম্যালনিউট্রিশন বা স্যাম) শিকার শিশুদের চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালের প্রস্তুতি মূল্যায়ন জরিপের ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয। সরকারের জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচি ও ইউনিসেফ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, সিলেটে কেন অপুষ্টি বেশি, এটি তাঁর মাথায় ঢোকে না। পুষ্টি নিয়ে কাজ করছেন, এমন প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের তিনি বলেন, ‘আপনাদের হিসাবে গোলমাল আছে কি না, তা দেখা দরকার।’

পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, রংপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলায়, বিশেষ করে চরাঞ্চলে অপুষ্টির প্রাদুর্ভাব বেশি, এসব এলাকায় কাজ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। তিনি বলেন, কক্সবাজারে অনেকে কাজ করছে। অনেকের কাজে দ্বৈততা আছে। সুতরাং সেখানে আপাতত আর কাজের অনুমতি তিনি দিতে চান না। তবে চা-বাগানে কাজের ক্ষেত্রে কোনো আপত্তি নেই।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর মো. আবদুল মান্নান। অনুষ্ঠানে ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একাধিক বিভাগীয় পরিচালক ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।