ঢামেক হাসপাতালে মারা যাওয়া সিদ্দিক ডিবির হেফাজতে ছিলেন

লাশ
প্রতীকী ছবি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যাওয়া সিদ্দিক আহাম্মেদ (৬২) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে ছিলেন। গ্রেপ্তার সিদ্দিককে গতকাল বুধবার রাতে ডিবি পুলিশ ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল।

ডিবি মতিঝিল বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) এরশাদ হোসেন আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম আলোকে এ কথা জানান। তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার ডিবি পুলিশ রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে এক হাজার ইয়াবাসহ সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় রমনা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে ডিবি।

এসআই এরশাদ বলেন, ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে সিদ্দিক বলেছিলেন, তাঁর বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফে। সেখান থেকে ইয়াবা নিয়ে তিনি ঢাকায় একজনের কাছে পৌঁছে দিতে এসেছিলেন। তবে সিদ্দিক কার কাছে ইয়াবা দিতে এসেছিলেন, জিজ্ঞাসাবাদে সে বিষয়ে মুখ খোলেননি।

ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, বুধবার সিদ্দিককে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তিনি পেটের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখান থেকে তাঁকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকেরা রাত ৮টা ২২ মিনিটে সিদ্দিককে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। রাত ৯টার দিকে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।

এদিকে সিদ্দিককে কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই রাকিবুল হাসান এনেছিলেন বলে হাসপাতালের নথির বরাত দিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবার সকালে রাকিবুল প্রথম আলোকে বলেন, প্রকৃতপক্ষে তিনি অন্য এক ব্যক্তিকে সন্ধ্যায় মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ওই রোগীরও মৃত্যু হয়। সিদ্দিককে আনার সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

হাসপাতালের মর্গ সূত্র জানিয়েছে, সিদ্দিকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাঁর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

ডিবির কর্মকর্তা এরশাদ জানিয়েছেন, সিদ্দিকের বাড়িতে খবর পাঠানো হয়েছে। লাশ নিতে তাঁর স্বজনেরা ঢাকায় রওনা হয়েছেন।

হাসপাতালের নথি অনুযায়ী, সিদ্দিকের বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায়। তাঁর বয়স ৬২ বছর। বাবার নাম কালা মিয়া।