স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে শরীরে আগুন, ৯৫ শতাংশ দগ্ধ গৃহবধূ

দগ্ধ ফাহমিদা আক্তার
ছবি: সংগৃহীত

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকার কেরানীগঞ্জে শরীরে আগুন লাগিয়ে এক গৃহবধূ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাতটার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয় তাঁকে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইউব হোসেন জানান, দগ্ধ গৃহবধূর শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পারভেজ খানের দাবি, মুরগি ও মাছ কাটা নিয়ে ফাহমিদার সঙ্গে তাঁর তর্ক হয়। পরে ফাহমিদা তাঁর বাবাকে ফোন করেন। তখন তিনি (পারভেজ) চড় মারেন তাঁকে। এরই ফাঁকে ফাহমিদা স্টোভের চুলা থেকে কোরোসিন শরীরে ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। বছরখানেক আগে প্রেম করে বিয়ে হয় তাঁদের।

দগ্ধ গৃহবধূর নাম ফাহমিদা আক্তার। স্বামী পারভেজ খানের ভাষ্যমতে, তিনি মুরগি ও মাছ কিনে বাসায় এসে ফাহমিদাকে কুটে রাখতে বলেন। এ সময় স্ত্রী তা পারবেন না বলে জানান। পরে তিনি নিজেই মুরগি কাটেন আর তাঁকে মাছ কাটতে বলেন।

পারভেজের দাবি, বিষয়টি নিয়ে তাঁদের দুজনের তর্কাতর্কি হয়। পরে ফাহমিদা তাঁর বাবাকে ফোন করেন। তখন তিনি (পারভেজ) চড় মারেন তাঁকে। এরই এক ফাঁকে ফাহমিদা স্টোভের চুলা থেকে কোরোসিন শরীরে ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান তিনি। পারভেজ খান লঞ্চে সারেংয়ের চাকরি করেন বলে জানান। বছরখানেক আগে প্রেম করে বিয়ে করেন তিনি।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়েছে।

এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের হিজলা উপজেলায় বাড়ি ফাহমিদা আক্তারের।