ঢাকার খাল যেন সবুজ মাঠ

দেড় বছর ধরে ঢাকা দক্ষিণ সিটির আওতাধীন চারটি খাল থেকে বর্জ্য অপসারণের কাজ বন্ধ।

দেখতে সবুজ মাঠের মতো মনে হলেও এটি আসলে খাল। আবর্জনা জমে ভরাট হয়ে এখন এমন রূপ নিয়েছে। স্থানীয় লোকজন এর নাম দিয়েছেন মরা খাল, কাগজে–কলমে মান্ডা। গতকাল বিকেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মুগদার পূর্ব মান্ডা এলাকায়ছবি: দীপু মালাকার

কাগজে-কলমে খালের নাম মান্ডা। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এটি ‘মরা’ খাল নামে পরিচিত। এই খালের কোথাও আগাছা, কোথাও কচুরিপানা, আবার কোথাও বর্জ্যের স্তূপ। কিছু অংশ এমনভাবে ভরাট হয়েছে, দেখলে মনে হয় সবুজ মাঠ। দেড় বছর ধরে বর্জ্য অপসারণ না করায় এই খালে পানিপ্রবাহ নেই বললেই চলে। 

মান্ডা খাল দৈর্ঘ্যে সাড়ে আট কিলোমিটার। প্রস্থে কোথাও ১২ ফুট, কোথাও ৫০ ফুট। ঢাকা দক্ষিণ সিটির ভেতরে সবচেয়ে বড় খাল এটি। খালের শুরু মানিকনগরে। এরপর উত্তর মান্ডা, সুখনগর, শেখের জায়গা ও খিলগাঁওয়ের ত্রিমোহনী হয়ে বালু নদে গিয়ে মিশেছে খালটি। 

বর্ষার সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার বড় অংশের বৃষ্টির পানি মান্ডাসহ চারটি খাল হয়ে বালু নদ ও বুড়িগঙ্গা নদীতে গিয়ে পড়ে। অন্য তিনটি খাল হলো জিরানী, শ্যামপুর ও কালুনগর। 

এই চার খালের বর্জ্য ও পলি অপসারণের পাশাপাশি সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ৮৯৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয় ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে। কিন্তু কাজ পুরোদমে শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে সিটি করপোরেশন। যে কারণে দেড় বছর ধরে চারটি খালের বর্জ্য অপসারণের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফল হচ্ছে, গত বছরও প্রবল বৃষ্টিতে অন্তত ছয়বার ডুবেছিল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা। এর মধ্যে গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর রাজধানীতে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জলাবদ্ধ থাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির বেশির ভাগ মূল সড়ক। সেদিন সড়কে অসংখ্য যানবাহন বিকল হয়ে যায়। 

জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন এখনো বিক্ষিপ্তভাবে কাজ করছে। এতে অনেক ক্ষেত্রে শুধু অর্থের অপচয় হচ্ছে।
ইকবাল হাবিব, স্থপতি 

এর আগে গত বছরের ৯ আগস্ট বিকেলে এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে থমকে যায় পুরো রাজধানী। প্রবল বর্ষণে বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পানিতে তলিয়ে যায় শাহবাগ, বাংলামোটর, ধানমন্ডি, মগবাজার, মতিঝিল, কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক, বেইলি রোড, পল্টন, প্রেসক্লাব এলাকাসহ পুরান ঢাকার বড় অংশ। কোথাও কোথাও বৃষ্টির পানি সাত-আট ঘণ্টায়ও সরেনি। এবারও ভারী বৃষ্টি হলে একই রকম পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন নগর–পরিকল্পনাবিদেরা। তাঁরা বলছেন, খাল থেকে বর্জ্য অপসারণের কাজ কোনোভাবেই বন্ধ রাখা উচিত হয়নি। বর্ষার আগেই প্রতিটি খালে পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

এই চার খালের বর্জ্য ও পলি অপসারণের পাশাপাশি সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ৮৯৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয় ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে। কিন্তু কাজ পুরোদমে শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে সিটি করপোরেশন।

খাল যেন সবুজ মাঠ

ঢাকা দক্ষিণ সিটির চারটি প্রধান খালের বর্তমান অবস্থা ১৫, ১৬ ও ১৮ মার্চ ঘুরে দেখেছেন প্রথম আলোর এই প্রতিবেদক। এই চারটি খাল হচ্ছে মান্ডা, জিরানী, শ্যামপুর ও কালুনগর। 

মান্ডা খালের কিছু অংশ মুগদা এলাকার ভেতর দিয়ে গেছে। এই অংশে গ্রিন মডেল টাউনের প্রবেশ মুখে পাশাপাশি দুটি সেতু রয়েছে। দুটি সেতুর নিচে খালে কোনো পানি নেই। সেতুর ওপর থেকে নিচের দিকে তাকালে মনে হয় সবুজ মাঠ। খালের এই অংশ পুরোটা ভরাট হয়ে ঘাস জমেছে। কেউ চাইলে সেতুতে না উঠে হেঁটেই খাল পার হতে পারবে। সেখানে ১৫ মার্চ কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, চার-পাঁচ বছর আগেও খালের এই অংশে পানিপ্রবাহ ছিল। মানুষ বুঝতে পারত এটি খাল। এখন এটি খাল না খেলার মাঠ, তা কেউ বুঝতে পারবেন না।

মুগদার ওই সেতু থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে সুখনগর এলাকায় মান্ডা খালের ওপর আরেকটি সেতু রয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, খালে বর্জ্যের স্তূপ জমেছে। 

সুখনগর এলাকায় কথা হয় স্থানীয় তরুণ আহনাফ রশিদের সঙ্গে। তিনি বলেন, সারা বছরই খালে বর্জ্য ফেলা হয়। সিটি করপোরেশন গত দেড়–দুই বছরে খালের এই অংশ কখনো পরিষ্কার করেনি। 

ঢাকা দক্ষিণ সিটির চারটি প্রধান খালের বর্তমান অবস্থা ১৫, ১৬ ও ১৮ মার্চ ঘুরে দেখেছেন প্রথম আলোর এই প্রতিবেদক। এই চারটি খাল হচ্ছে মান্ডা, জিরানী, শ্যামপুর ও কালুনগর। 

মান্ডা খালের মুগদা অংশ থেকে চার কিলোমিটার দূরে জিরানী খাল। এই খালের দৈর্ঘ্য চার কিলোমিটার। প্রস্থে কোথাও ২০ ফুট, কোথাও ৫০ ফুট। খালের শুরু সবুজবাগ এলাকা থেকে। এরপর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে খালটিও খিলগাঁওয়ের ত্রিমোহনী হয়ে বালু নদে গিয়ে মিশেছে। এই খালের দুই কিলোমিটার অংশ ১৫ মার্চ ঘুরে দেখেন প্রথম আলোর এই প্রতিবেদক। দেখা গেছে, আগাছা, আবর্জনা ও কচুরিপানা জন্মে খালের বেশির ভাগ অংশে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। 

জিরানীর চেয়ে দৈর্ঘ্যে কিছুটা বড় শ্যামপুর খাল। এই খালের দৈর্ঘ্য প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। এই খাল প্রস্থে কোথায় ১৫ ফুট, কোথাও আবার ৩৫ ফুট। পূর্ব জুরাইনের বড়ইতলা থেকে শুরু হয়ে জিয়া সরণি, মোহাম্মদবাগ হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের পাগলা খালে গিয়ে মিশেছে শ্যামপুর খাল। ১৬ মার্চ এই খালের বড়ইতলা অংশে গিয়ে দেখা যায়, গৃহস্থালি বর্জ্য ফেলার কারণে তা ভরাট হয়ে গেছে। তবে বড়ইতলা থেকে আধা কিলোমিটার দূরে নামা-শ্যামপুর এলাকায় খালে কালো পানির প্রবাহ রয়েছে। 

আরও পড়ুন

শ্যামপুর খালের বড় অংশই ভরাট হয়ে যাওয়ায় গত বছর বর্ষার সময় শ্যামপুর, জুরাইন ও কদমতলীর বাসিন্দাদের কয়েক দফা জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পূর্ব জুরাইনের বড়ইতলা এলাকার বাসিন্দা তসলিম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতবার বৃষ্টিতে এলাকার অনেক সড়ক পানির নিচে ডুবে ছিল।

মান্ডা ও জিরানী খালের কিছু অংশ পড়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাশ প্রথম আলোকে বলেন, খাল থেকে প্রতিবছর ময়লা-পরিষ্কার করলে জলাবদ্ধতা কম হতো। 

আবর্জনার স্তূপ জমেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটির কালুনগর খালেও। এই খালের দৈর্ঘ্য আড়াই কিলোমিটার। প্রস্থে কোথাও ১৫ ফুট, কোথাও ১৫০ ফুট। এর শুরু হাজারীবাগের বেড়িবাঁধে, বিভিন্ন এলাকা ঘুরে খালটি মিশেছে রায়েরবাজারের স্লুইসগেটে। এই খালের রায়েরবাজার অংশে গিয়ে দেখা যায়, অন্তত ৫০০ মিটারজুড়ে আবর্জনার স্তূপ জমে আছে। এতে খালের পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, খালের কিছু অংশ ভরাট হয়ে সরু নালার মতো হয়ে গেছে। গত এক–দুই বছরে এই খাল পরিষ্কার করা হয়নি। 

খালের সীমানা নির্ধারণের কাজটি দুরূহ। তাই পুরোদমে প্রকল্পের কাজ শুরু হতে কিছুটা সময় লাগছে। 
প্রকল্পের পরিচালক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের

শুরুতে তোড়জোড়

২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে খাল ও নালার দায়িত্ব বুঝে নেয় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে সাতটি খালের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পায় দক্ষিণ সিটি। এই সাত খালের তিনটি আবার বক্স কালভার্ট (আরামবাগ-সেগুনবাগিচা, পান্থপথ ও ধোলাই খাল)। অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি ২৯টি খালের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পায়। 

ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পরের দুই বছরে ধারাবাহিকভাবে খাল থেকে বর্জ্য ও পলিমাটি অপসারণের কাজ করেছিল দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এর সুফলও ২০২১ ও ২০২২ সালে পাওয়া গিয়েছিল। ওই দুই বছরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে বড় ধরনের জলাবদ্ধতা হয়নি।

কিন্তু চারটি খালের সৌন্দর্যবর্ধনে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ‘খাল পুনরুদ্ধার, সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদনের পর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এসব খাল থেকে আর বর্জ্য অপসারণ করেনি। এর প্রভাব গত বছরই পড়েছিল। গত বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে কয়েক দফায় ভারী বৃষ্টিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটির অনেক এলাকার সড়ক দীর্ঘ সময় পানির নিচে ছিল।

৮৯৮ কোটি টাকার এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৭ সালের জুনে। যদিও ঠিকমতো কাজ শুরু হওয়ার আগেই দেড় বছর পেরিয়ে গেছে। প্রকল্পের পরিচালক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের প্রথম আলোকে বলেন, প্রকল্পের আওতায় খাল থেকে বর্জ্য অপসারণের জন্য ঠিকাদারদের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। কিছু জায়গায় খাল থেকে বর্জ্য অপসারণের কাজও শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, খালের সীমানা নির্ধারণের কাজটি দুরূহ। তাই পুরোদমে প্রকল্পের কাজ শুরু হতে কিছুটা সময় লাগছে। 

তবে নগরবিদেরা বলছেন, ওই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলেই বর্ষার সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি এলাকা পুরোপুরি জলাবদ্ধতামুক্ত হয়ে যাবে, বিষয়টি এমন নয়। এর কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, বৃষ্টির পানি নর্দমা হয়ে খালের মাধ্যমে নদ–নদীতে যাওয়া পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে। প্রথমে বৃষ্টির পানি ক্যাচপিটের (নালার ওপরের ছিদ্রযুক্ত ঢাকনা) মাধ্যমে সড়কের নিচে পানিনিষ্কাশনের নালায় যায়। বিভিন্ন সড়কে সিটি করপোরেশনের আওতায় সড়ক ও ফুটপাত সংস্কারকাজের কারণে বহু ক্যাচপিট এবং নালার মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিকের বোতলসহ নানা বর্জ্য ও বালু জমেও নালার মুখ বন্ধ হয়ে যায়। এসব নালা পরিষ্কারের কাজটি নিয়মিত করতে হয়। সিটি করপোরেশন কাজটি কতটা দক্ষতার সঙ্গে করে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। 

সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, কালুনগর, জিরানী, মান্ডা ও শ্যামপুর খালের সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের আওতায় ৩৮ কিলোমিটার খালপাড়ে ৮ ফুট উঁচু সুরক্ষা বেষ্টনী, ৩৬টি পদচারী–সেতু ও গাড়ি চলাচলের ১৯টি সেতু নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৩২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, বাইসাইকেল লেন, ১০টি পাবলিক টয়লেট ও ৭৭১টি বাতি স্থাপন করা হবে।

আশ্বাসের বাস্তবায়ন নেই

জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। মেয়র হিসেবে তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের চার বছর হতে চলছে। বিভিন্ন সময়ে জলাবদ্ধতা দূর করার বিষয়ে তিনি নানা ধরনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। যেমন গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার ওয়ারীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, বর্ষায় অতিবৃষ্টি হলেও ১৫ মিনিটের মধ্যে পানিনিষ্কাশন হবে।

কিন্তু গত বর্ষায় ভারী বৃষ্টির পর ঢাকার কিছু এলাকার সড়ক ঘণ্টার পর ঘণ্টা তলিয়ে ছিল। বিশেষ করে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর রাতের বৃষ্টিতে দেখা দেওয়া জলাবদ্ধতা ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্তও ছিল। ওই সময় পুরান ঢাকার বংশাল, নর্থসাউথ রোড, কাজী আলাউদ্দিন রোড, আগা সাদেক খান রোড, সিক্কাটুলি পার্কের সামনের সড়ক, নিউমার্কেট এলাকায় সড়কে ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত পানি ছিল। এ নিয়ে ‘১৫ মিনিটে সরার কথা, সরেনি ১৫ ঘণ্টায়ও’ শিরোনামে গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।

আরও পড়ুন

বৃষ্টির পানি নালা হয়ে খালে যাওয়ার যে প্রক্রিয়া, এটি নিশ্চিত করার পাশাপাশি খাল সংস্কার ও উদ্ধারের কাজটি সিটি করপোরেশনকে নিয়মিত করে যেতে হবে বলে মনে করেন নাগরিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত স্থপতি ইকবাল হাবিব। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্রকল্পের আশায় খাল থেকে বর্জ্য অপসারণের কাজ কোনোভাবেই বন্ধ রাখা যাবে না। জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন এখনো বিক্ষিপ্তভাবে কাজ করছে, এতে অনেক ক্ষেত্রে শুধু অর্থের অপচয় হচ্ছে।