ডেঙ্গু প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করতে শোভাযাত্রা

এডিস মশা নিধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হল এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

রাজধানীতে এডিস মশা নিধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষকে নিয়ে সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোহাম্মদপুরের টাউন হলে কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের শের শাহ সুরি সড়ক, টাউন হল ও তাজমহল সড়কের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রার আগে এডিস মশা নিধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।

সমাবেশে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ জায়গা থেকে সতর্ক ও সচেতন হতে হবে। বাসা পরিষ্কার রাখতে হবে। সচেতন না হলে ডেঙ্গু আরও বাড়বে। ডিএনসিসির মেয়র ও কর্মকর্তারা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।’

কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আপনার বাসার কোথায় পানি জমে আছে, সেটা সিটি করপোরেশনের কর্মীর পক্ষে পরিষ্কার করা সম্ভব না। তাই নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হয়ে এগিয়ে এলে এডিস মশা আর বংশ বিস্তার করতে পারবে না।’

এ সময় ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী বলেন, নগরবাসীকে নিজেদের বাড়ি পরিষ্কার রাখতে হবে। সেই সঙ্গে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। মশক নিধনে যে ওষুধ ব্যবহার করা হয়, সেটা সঠিক ওষুধ কি না, ওই ওষুধে মশা মরে কি না, যে পদ্ধতিতে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে, সেটি সঠিক কি না—এসব বিষয় নিয়ে সিটি করপোরেশনকে গভীরভাবে ভাবতে হবে।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে স্থানীয় বাইতুল ফালাহ মাদ্রাসা ও এতিমখানার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু তালহা, মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার বণিক সমিতির সভাপতি লুৎফর রহমান, বাড়ি মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ লিপটন প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ সময় ওয়ার্ডের বিভিন্ন শ্রেণির নাগরিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বাড়ি মালিক সমিতির প্রতিনিধি, স্থানীয় বাজার সমিতি, ক্লাব ও সংগঠনের প্রতিনিধিসহ সাধারণ মানুষ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

কর্মসূচি শেষে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে কাউন্সিলরের পক্ষ থেকে এডিস মশা নিধনে ব্লিচিং পাউডার, কেরোসিন, ফ্লোর ক্লিনার, সাবান, হারপিক বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ওষুধ ছিটানোর কাজের সুবিধার্থে মশকনিধন কর্মীদের জন্য গামবুট দেওয়া হয়।