পবিত্র রমজানে ঢাকার যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণই বড় চ্যালেঞ্জ: ডিএমপি কমিশনার

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানফাইল ছবি

পবিত্র রমজান মাসে পুলিশের বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ। যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ কাজ করছে। আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

এর আগে ডিএমপি সদর দপ্তরের ষষ্ঠতলার সম্মেলনকক্ষে আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ব্যাংক, বিপণিবিতান, শপিং মলসমূহের নিরাপত্তা, ভেজাল খাদ্যদ্রব্য ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা–সংক্রান্ত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

হাবিবুর রহমান বলেন, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীর সচেতনতা ও সহযোগিতা দরকার। যাঁরা গাড়ি ব্যবহার করছেন, যাঁরা গাড়িতে চড়ছেন এবং যাঁরা রাস্তার আশপাশে ব্যবসা করছেন; তাঁদের সহযোগিতা দরকার। তা না হলে সোয়া ২ কোটি লোক বসবাস করে, সেখানে পুলিশ রাতারাতি ট্রাফিক সমস্যা সমাধান করে দিতে পারবে না।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘তবে আমরা আশাবাদী সকলে যদি সহযোগিতা করেন, তাহলে ট্রাফিক সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। আর পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয়ভাবে ট্রাফিক সমস্যা সমাধান করতে পারেন।’

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘রাস্তায় যাঁরা সংস্কারকাজ করেন ওয়াসা, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ অন্যান্য সংস্থা যে উন্নয়নকাজ করে থাকেন, তাঁরা রমজান মাসে সকলের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে এসব কাজ বন্ধ রাখবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা। এসব কাজ বন্ধ রাখার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে চিঠি দিয়ে জানাব।’

সড়কে ছিনতাই প্রতিরোধ রমজান মাসে আরেকটি চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘রমজান মাসে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যে আরও একটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিভিন্ন শপিং মল ও রাস্তায় এবং ব্যাংকের সামনে থেকে ছিনতাই। এ ছাড়া অবৈধ মজুদ করে কৃত্রিমভাবে মূল্যবৃদ্ধি, খাদ্যদ্রব্যে ভেজালও রমজান মাসে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। এসব সমস্যা সমাধানে পুলিশ ইতিমধ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘রমজানে মানুষজন যেন বাসায় গিয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে ইফতার করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি ডিএমপির অপরাধ বিভাগগুলোও কাজ করবে। বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আমাদের বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। একই সময়ে রাস্তায় বেশি পুলিশ মোতায়েন রাখা হবে, যাতে করে মানুষ ঘরে গিয়ে ইফতার করতে পারে।’

রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে পুলিশের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কেউ যদি কৃত্রিম উপায়ে ও কারসাজি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে, তাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে পুলিশ কাজ করবে।