সব মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদিজা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা কলাবাগান থানার মামলার পর এবার নিউমার্কেট থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা থেকেও অব্যাহতি পেয়েছেন।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। পাশাপাশি আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তেরও আদেশ দেন। ওই আদালতের স্টেনোগ্রাফার মামুন শিকদার প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৮ জানুয়ারি কলাবাগান থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় খাদিজাতুল কুবরাকে অব্যাহতির আদেশ দেন আদালত।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, নিউমার্কেট থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে খাদিজাতুল কুবরার আইনজীবী আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত এ মামলা থেকে খাদিজাতুলকে অব্যাহতির আদেশ দেন।

খাদিজার মা ফাতেমা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছেন খাদিজা। অব্যাহতির আদেশে তাঁরা অনেক খুশি।

খাদিজা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। একটি মামলা হয় রাজধানীর কলাবাগান থানায়, অন্যটি নিউমার্কেট থানায়। দুটি মামলার বাদী পুলিশ।

আরও পড়ুন

২০২২ সালের মে মাসে দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে সে বছরের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানা-পুলিশ। এরপর বিচারিক আদালতে দুবার খাদিজার জামিন আবেদন নাকচ হয়। পরে তিনি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন।

গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি খাদিজার জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়। গত ১৫ নভেম্বর খাদিজার জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। ২০ নভেম্বর খাদিজাতুল কুবরা গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান।