জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ সংগীত উৎসব
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের আয়োজনে চতুর্থ সংগীত উৎসব–২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বুধবার বিজ্ঞান অনুষদের মাঠে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই-পরবর্তী সময়ে দেশে যে মুক্ত ও সৃজনশীল পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তারই ধারাবাহিকতায় এ উৎসবের মাধ্যমে আমরা আমাদের সমৃদ্ধ দেশি সংস্কৃতিকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে পারব বলে আমি বিশ্বাস করি। সংগীত শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি জাতির প্রেরণার উৎস। মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং জুলাই বিপ্লবে সংগীতের শক্তিই আমাদের উদ্বুদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ করেছে।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘আজ আমরা প্রত্যাশা মজুমদারকে স্মরণ করছি। এমন সম্ভাবনাময় প্রাণের অকালপ্রয়াণ আমাদের গভীরভাবে ব্যথিত করে। এ ঘটনা শিক্ষা দেয় যে আমাদের মানবিক হতে হবে। কিন্তু আবেগের বশবর্তী হয়ে যেন অন্ধকার পথে পা না বাড়াই।’
গত ২৯ এপ্রিল আত্মহত্যা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী প্রত্যাশা মজুমদার। তাঁকে উৎসর্গ করে এবারের সংগীত উৎসব আয়োজন করা হয়েছে।
উৎসবের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় সকাল ১০টায় কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ভার্চ্যুয়াল ক্লাসরুমে। সেখানে ‘সার্বিক স্বরূপ সমীক্ষণ: সংগীত ও সংবিৎ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
উৎসবের দ্বিতীয় অধিবেশন বেলা তিনটায় বিজ্ঞান অনুষদের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে শিল্পী শাহীন সামাদকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।
উৎসবের তৃতীয় অধিবেশনে বিকেল চারটা থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সংগীত পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিনা শরমীন। সভাপতিত্ব করেন চতুর্থ সংগীত উৎসব উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক ও সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ। সঞ্চালনা করেন সংগীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহমুদুল হাসান।