বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বলছেন, পুলিশের লাঠিপেটায় ২০ থেকে ৩০ আইনজীবী আহত হয়েছেন
ছবি: আসাদুজ্জামান

ঢাকার জজ কোর্ট এলাকায় আজ মঙ্গলবার বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের পুলিশ লাঠিপেটা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বলছেন, পুলিশের লাঠিপেটায় ২০ থেকে ৩০ আইনজীবী আহত হয়েছেন। তাঁদের ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

তবে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, ইউনাইটেড ল ইয়ার্স ফ্রন্টের ব্যানারে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা মিছিল নিয়ে মূল সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন। তাঁরা যেন আদালত প্রাঙ্গণে সমাবেশ করেন, সে জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ জানানো হয় কিন্তু তাঁরা তা না করে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ধাওয়া দেয়। বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ছোড়া ইটের আঘাতে পুলিশের চারজন সদস্য আহত হন। বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের পুলিশ লাঠিপেটা করেনি।

পুলিশ বলছে, তারা আত্মরক্ষার্থে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ধাওয়া দিয়েছে
ছবি: সংগৃহীত

মাহবুবুর রহমান খানসহ আহত কয়েকজন আইনজীবী প্রথম আলোকে বলেন, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিনা উসকানিতে সাদা ও পোশাকধারী পুলিশ তাঁদের বেধড়ক পিটিয়েছে। এতে ২০ থেকে ৩০ আইনজীবী গুরুতর আহত হয়েছেন।

আইনজীবী দেওয়ান হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, ইউনাইটেড ল ইয়ার্স ফ্রন্টের একটি পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল আজ। এর অংশ হিসেবে আজ সকাল থেকেই ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে তাঁরা সমবেত হতে থাকেন। পরে সমিতি ভবনের সামনে থেকে আইনজীবীরা সারিবদ্ধভাবে মূল সড়কের দিকে যেতে থাকেন। সড়কে ওঠার আগমুহূর্তে পুলিশ বিনা উসকানিতে আইনজীবীদের লাঠিপেটা শুরু করে। পুলিশের লাঠিপেটায় তিনিসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নারী আইনজীবীও আছেন।

আহত দুই আইনজীবী
ছবি: আসাদুজ্জামান

আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ যেভাবে লাঠিপেটা করেছে, তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক।

আহত আইনজীবীদের দেখতে পরে ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে যান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিনা উসকানিতে পুলিশ আইনজীবীদের বেধড়ক পিটিয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঢাকা বার ইউনিটির উপদেষ্টা শাখাওয়াত উল্লাহ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশ এভাবে আইনজীবীদের পেটাতে পারে না। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’