ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে ৩৫০ কোটি টাকার সম্পদ পুড়েছে: দোকান মালিক সমিতি

রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে গত শনিবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে আগুনে সাড়ে তিন শ কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আজ বুধবার ক্ষয়ক্ষতির এ হিসাব দিয়েছে ঢাকা নিউমার্কেট দোকান মালিক সমিতি। আগুনে ২২৬টি দোকান পুড়ে গেছে বলে জানানো হয়েছে।

দোকান মালিক সমিতির আহ্বায়ক মারুফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সমিতির হিসাব অনুযায়ী আগুনে মার্কেটের তৃতীয় তলায় ২০০টি দোকান পুড়েছে। আর দ্বিতীয় তলায় পুড়েছে ২৬টি দোকান। আগুনে শুধু কাপড়ই পুড়েছে দেড় শ কোটি টাকার। সব মিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন শ কোটি টাকা। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ২৭০টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বলে ধারণা করেছিলাম। সবাই মিলে যাচাই-বাচাইয়ের পর ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের সংখ্যা কমেছে।’

ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে ক্রেতার আগমন বাড়ছে
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী মার্কেটের নিচতলায় কোনো দোকান পোড়েনি। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, নিচতলায় অন্তত তিনটি দোকান পুড়ে গেছে।

গত শনিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর নিউমার্কেট-সংলগ্ন তিনতলার এই মার্কেটে আগুন লাগে। সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পরদিন রোববার সকাল ৯টার দিকে আগুন পুরোপুরি নেভে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মার্কেটে প্রায় ১ হাজার ২০০টি দোকান রয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের দুই দিন পর গত সোমবার সকালে প্রথম স্বল্প পরিসরে দোকান খোলেন ব্যবসায়ীরা। তবে প্রথম দিন ক্রেতার উপস্থিতি ছিল হাতে গোনা। গতকাল মঙ্গলবার ক্রেতা আরও বাড়ে। তবে গতকালের তুলনায় আজ ক্রেতার উপস্থিতি অনেক বেশি দেখা যায়।

পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো ছাড়া মার্কেটের প্রায় সব দোকানই আজ খুলেছে। মার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ী প্রথম আলোকে বলেন, নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার অধিকাংশ দোকানে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হয়েছে। মার্কেটের পূর্ব পাশেরটি ছাড়া বাকি সব ফটক খুলে দেওয়া হয়েছে।

আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দেখা যায়, মার্কেটের তৃতীয় ও দ্বিতীয় তলার পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো থেকে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নেওয়ার কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। তবে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এমন দোকানগুলোতে বেচাকেনা চলছে। বিক্রি শুরু করতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেছেন দোকানমালিক ও বিক্রয়কর্মীরা।

আরও পড়ুন

দ্বিতীয় তলার নাহার কালেকশনের ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘দোকান চালু করতে পেরে ভালো লাগছে। বিক্রিও ভালো হচ্ছে।’

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে ছেলেকে নিয়ে এই মার্কেটে কেনাকাটা করতে এসেছেন কামরুল হাসান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কম বাজেটে এখান থেকে পোশাক কেনা যায়। তাই তিনি প্রতিবছর কেনাকাটা করতে এখানেই আসেন। অগ্নিকাণ্ডের পর গতকাল তিনি শুনতে পান, মার্কেট খুলেছে। তাই আজ সকালে ছেলেকে নিয়ে এখানে কেনাকাটা করতে এসেছেন।

আরও পড়ুন