বাড্ডায় বাড়ির নিচতলায় বিস্ফোরণে নিহত এক

ডিআইটি প্রজেক্ট ৪ নম্বর রোডের ২২ নম্বর বাড়ির নিচতলায় হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়ছবি: ফায়ার সার্ভিসের সৌজন্যে

রাজধানী বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্টের ৪ নম্বর রোডের একটি বাড়ির নিচতলায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস বলছে, তিতাস লাইনের গ্যাস বা সুয়ারেজ লাইনের গ্যাস জমে বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে।

বিস্ফোরণে নিহত ব্যক্তির নাম সোলায়মান মিয়া (৩৬)। তিনি রেস্তোরাঁকর্মী। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় পলাশতলী গ্রামে। তিনি ডিআইটি প্রজেক্টের ৪ নম্বর বটতলা রোডে থাকতেন। আহত হয়েছেন বাড়ির গৃহিণী শান্তা বেগম (৩০)। তাঁর স্বামী নাসিরউদ্দিন হাওলাদার একজন মাছ ব্যবসায়ী।

নাসির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, উনি ঘটনার সময় মাছ কিনতে বাইরে ছিলেন। খবর পেয়ে দ্রুত সেখান ছুটে এসে দেখেন তাঁর স্ত্রী ঘরের বাইরে দগ্ধ অবস্থায় পড়ে আছেন। সিটি করপোরেশনের সংস্কারকাজ চলার সময় কয়েক দিন ধরে গ্যাসের গন্ধ পাচ্ছিলেন বলেন তিনি।

শান্তা বেগম রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা বলেছেন, তাঁর শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।

ফায়ার সার্ভিস বলেছে, বাড়িটি তিনতলা ছিল। এর নিচতলায় বিস্ফোরণ হয় এবং আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণে নিচতলার দেয়ালে ফাটল ধরে এবং কাচের জিনিসপত্র ভেঙে যায়। বিস্ফোরণের কারণে বাড়ির প্রবেশপথের লোহার গেট খুলে ভবনের পাশে একটি একতলা রেস্তোরাঁর ওপর পড়ে। লোহার গেটের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সোলায়মান এবং আহত হন বাড়ির গৃহিণী শান্তা বেগম।

বারিধারা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোন-৩–এর উপসহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, তিতাস লাইনের গ্যাস বা সুয়ারেজ লাইনের গ্যাস জমে বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে। এ ব্যাপারে তদন্তের পরে নিশ্চিত করে বলা যাবে।

বাড্ডা অঞ্চলের পুলিশের সহকারী কমিশনার রাজন কুমার সাহা বলেন, ভবনের পাশ দিয়েই তিতাস গ্যাসের লাইন চলে গেছে। সেখানে গ্যাস জমে বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে। বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসীন গাজী হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।