স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতি

স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান করেন তাঁরাছবি: প্রথম আলো।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ঘোষণা অনুযায়ী স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা প্রথম দিনের কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কোনো ক্লাস নেননি তাঁরা। পাশাপাশি দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে তাঁরা অবস্থান করেন।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষাগুলো কর্মসূচির আওতামুক্ত ছিল।

গত ১৩ মার্চ সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও এই স্কিমে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। পাশাপাশি শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনেরও দাবি জানান তাঁরা। এমন প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কর্মবিরতি কর্মসূচি পালনের অনুরোধ জানায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশন।

গতকাল সোমবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি আখতারুল ইসলাম ও মহাসচিব নিজামুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছিল। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ থেকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি এবং রোববার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকেরা। এর মধ্যে দাবি পূরণ না হলে সোমবার থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে। এ সময় সব ক্লাস, পরীক্ষা, দাপ্তরিক কাজসহ সবকিছু বন্ধ রাখবেন শিক্ষকেরা।

আরও পড়ুন

সর্বাত্মক কর্মবিরতি কর্মসূচি পালনে শিক্ষার্থীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মাশরিক হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আশঙ্কা রয়েছে। এর জন্য অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়াসহ বিভিন্ন বিকল্প পরিকল্পনা আছে। রোববার পর্যন্ত সব পরীক্ষা কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে।

শেখ মাশরিক হাসান আরও বলেন, কর্তৃপক্ষকে গত দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে দাবি মানলে এমন কর্মসূচি হতো না। দাবিটি শুধু বর্তমান শিক্ষকদের জন্য নয়, ভবিষ্যতে যাঁরা শিক্ষকতায় আসবেন, তাঁদের জন্যও।