এমটিবি-প্রথমা প্রকাশন বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা
প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান প্রথমা প্রকাশন ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) যৌথ উদ্যোগে বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে রাজধানীর গুলশানের এমটিবি সেন্টারে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান এবং প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান।
তিন দিনের এই মেলা গতকাল সোমবার দুপুরে শুরু হয়। আগামীকাল বুধবার মেলার শেষ দিন। মেলা চলবে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা শেষে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ উপলক্ষে উপকূলের জনগোষ্ঠীর জন্য এমটিবির ‘বইয়ের বিনিময়ে গাছ’ উদ্যোগে তিনটি বই উপহার দেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। বই তিনটি হলো ‘অব্যাহত মুক্তিযুদ্ধ: প্রথম আলোয় একাত্তর’ (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড) এবং ‘ডাক দিয়ে যায় একুশে ফেব্রুয়ারি: প্রথম আলোয় ভাষা আন্দোলন’। বইগুলো এমটিবি ও প্রথমা প্রকাশনের যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
আজকের অনুষ্ঠানে এমটিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, মেলাটি আয়োজনের উদ্দেশ্য বইকে সবার কাছে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য করা। বই পড়া সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা। যাঁরা বই পড়তে অভ্যস্ত নন, এমন উদ্যোগ তাঁদের জন্য হতে পারে বই পড়ার শুরু।
প্রথম আলোকে খবরের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে উল্লেখ করেন সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, প্রথম আলোর মতো তাঁরাও যা কিছু ভালো তার সঙ্গে যুক্ত থাকার চেষ্টা করেন।
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, মেলার উদ্দেশ্য বইকে মানুষের আরও কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া, যাতে সহজে তাঁরা বই পেতে পারেন।
মতিউর রহমান বলেন, শুরু থেকেই প্রথম আলোর লক্ষ্য ছিল স্বাধীন পত্রিকা হবে। এই লক্ষ্য থেকে প্রথম আলো সরে যায়নি।
প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরী, প্রয়াত মনজুর এলাহী চৌধুরীসহ এমটিবির পথচলা যাঁদের মাধ্যমে শুরু, তাঁদের স্মরণ করেন মতিউর রহমান। তিনি বলেন, ব্যাংক খাতের দুরবস্থার মধ্যেও যে প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো করতে পারে, নতুন করে আশা জাগাতে পারে, তার বড় প্রমাণ এমটিবি।
প্রথমা প্রকাশনের প্রধান সমন্বয়কারী মশিউল আলম বলেন, প্রথমা প্রকাশনের লক্ষ্য গুণগত ও মানসম্পন্ন বই প্রকাশ করা। শুধু ব্যবসার জন্য নয়, এর নেপথ্যে শিক্ষামূলক ভূমিকাও রয়েছে। প্রথমার চ্যালেঞ্জ হলো হারিয়ে যেতে বসা কাগজের বইকে টিকিয়ে রাখা। সেই সঙ্গে বই পড়ার অভ্যাসকে উৎসাহিত করার জন্য তাঁরা এমন মেলার আয়োজন করেন।
অনুষ্ঠানে এমটিবি ও প্রথমা প্রকাশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মেলায় প্রথমার বই ছাড়াও দেশি-বিদেশি প্রকাশনীর বই পাওয়া যাচ্ছে। রয়েছে সাহিত্যের ছোট কাগজ আর সাময়িকী। এখানে ২০ থেকে ৬০ শতাংশ কমিশনে প্রথমা প্রকাশনের বই বিক্রি করা হচ্ছে। অন্যান্য প্রকাশনীর বইয়ে ২০ শতাংশ ছাড় রয়েছে। আর বিদেশি প্রকাশনীর বই পাওয়া যাচ্ছে ৫ শতাংশ ছাড়ে।
আয়োজকেরা জানান, ২০২৫ সালের অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত প্রথমা প্রকাশনের সব বই এই মেলায় পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া একুশে বইমেলার পর প্রকাশিত একেবারে নতুন বইও পাওয়া যাচ্ছে ২০ শতাংশ ছাড়ে।