আবাসিক হলে ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ আরেক ছাত্রীর বিরুদ্ধে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে এক ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে আরেক ছাত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সকালে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইতি খাতুনকে হলের রান্নাঘরে মারধর করেন সংগীত বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাসমিম সানজানা।

ইতি খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার রান্নার মধ্যে চুলা ফাঁকা থাকায় আপু (তাসমিম সানজানা) ডিম ভাজতে চাইলে ছেড়ে দিই। কিন্তু রান্না শেষ করতে দেরি হওয়ায় এবং ক্লাসের সময় হওয়ায় দ্রুত রান্না শেষ করতে বলি। তখন তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করেন। প্রতিবাদ করায় চড়–থাপ্পড়, কিল–ঘুষি মারে। এরপরের ঘটনা মনে নেই, কারণ মারধরে অচেতন হয়ে পড়ি।’ ইতি জানান, এ ঘটনায় তিনি হলের হাউস টিউটর ও প্রোভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাসমিম সানজানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘জুনিয়র হয়ে ইতি আমার সঙ্গে বেয়াদবি করেছে। আমার দিকে তেড়ে আসে। আমি কি বসে থাকব? আমিও মাইর খাইছি, আমিও অভিযোগ দিয়েছি।’

বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট দীপিকা রানী বলেন, ‘মারধরের ঘটনায় অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি হলের শৃঙ্খলা কমিটিতে তোলা হবে। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সাংবাদিককে হুমকির অভিযোগ

এদিকে ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় তাসমিমা সানজানার বক্তব্য জানতে তাঁকে ফোন করেন ভোরের কাগজ পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রকি আহমেদ। এর কিছুক্ষণ পরই তাসমিমার বন্ধু পরিচয় দিয়ে ফাহিম ইশতিয়াক নামের একজন রকিকে ফোন করে গালাগালি করেন ও হুমকি দেন।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সাংবাদিক রকি আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘মার্কেটিং বিভাগের ২০১৬-১৭ ব্যাচের ফাহিম ইশতিয়াক নিজেকে ছাত্রলীগের কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেব ও আইনি ব্যবস্থা নেব।’

হুমকি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ফাহিম ইশতিয়াক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ওই সাংবাদিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। উত্তেজিত হয়ে খারাপ আচরণ করে ফেলেছি।’

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, ‘ফাহিম ইশতিয়াকের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। ফাহিম ছাত্রলীগের কেউ না।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সাংবাদিকদের পেশাগত কাজ বাধা নিন্দনীয় কাজ। লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।