ধোলাইখাল জলাধার হবে হাতিরঝিলের চেয়ে সুন্দর: মেয়র তাপস

ধোলাইখালের আয়তন ১৬ দশমিক শূন্য ৬১ বিঘা। এর মধ্যে জলাধারের পুকুর হবে প্রায় ১৪ বিঘা
নকশাটি সিটি করপোরেশন থেকে সংগৃহীত

সবুজায়ন ও নান্দনিক পরিবেশ তৈরিতে করপোরেশনের নেওয়া কার্যক্রম শেষ হলে ধোলাইখাল জলাধারের পরিবেশ হাতিরঝিলের চেয়ে সুন্দর ও নান্দনিক হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ বুধবার দুপুরে ধোলাইখাল জলাধার সবুজায়ন ও নান্দনিক পরিবেশ উন্নয়নকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মেয়র। তখনই তিনি এ মন্তব্য করেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ তাপস বলেন, ধোলাইখাল জলাধার পুরান ঢাকার ফুসফুস। পুরান ঢাকার একটি আকাঙ্ক্ষার জায়গা। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এ জলাধার উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের শুভসূচনা করতে পারা অত্যন্ত আনন্দের। আগামী এক বছরের মধ্যে এই নোংরা ও ভাগাড়ের দৃশ্যপট পরিবর্তিত হয়ে হাতিরঝিলের চেয়ে সুন্দর, সবুজ ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

ধোলাইখাল জলাধার উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের শুভসূচনা করে বক্তব্য দেন মেয়র তাপস
ছবি: সিটি করপোরেশন থেকে সংগৃহীত

ধোলাইখাল জলাধার উন্নয়ন কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরে মেয়র বলেন, এখানে যেমন সুপ্রশস্ত হাঁটার পথ থাকবে, তেমনি সাইকেল চালানোর সুযোগ থাকবে। এখানে সবুজায়ন হবে ও উন্মুক্ত মঞ্চ থাকবে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত শৌচাগারের ব্যবস্থা থাকবে। এখানে ঘাটলা থাকবে, মাঠ থাকবে। শিশুদের খেলার জায়গা থাকবে। ঝরনা থাকবে এবং খাবারদাবারের ব্যবস্থা থাকবে।

এ সময় ধোলাইখালের পানি দূষণমুক্ত রাখতে নানাবিধ উদ্যোগ তুলে ধরে মেয়র শেখ তাপস বলেন, এখানে অনেক পয়ঃসংযোগ আছে। সেগুলো সরানো হবে এবং স্থানান্তর করা হবে। এখানে যে বর্জ্য জমে আছে, সেগুলো দীর্ঘস্থায়ীভাবে অপসারণ করা হবে। পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমে যে বৃষ্টি হয়, সেই বৃষ্টির পানিও সংরক্ষণ করা হবে।

ধোলাইখাল জলাধারের বর্তমান অবস্থা
ছবি: সিটি করপোরেশন থেকে সংগৃহীত

ঢাকা দক্ষিণ সিটির কর্মকর্তারা জানান, ধোলাইখালের আয়তন ১৬ দশমিক শূন্য ৬১ বিঘা। এর মধ্যে জলাধারের পুকুর হবে প্রায় ১৪ বিঘা। জলাধারটি ১৯ কোটি ৮৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন করা হচ্ছে। আগামী বছরের এপ্রিলে এই কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

জলাধারকে কেন্দ্র করে ১ হাজার ৯৬৮ ফুটের হাঁটা পথ, ২ হাজার ১৫৫ ফুটের বাইসাইকেল লেন এবং ৬০ হাজার বর্গফুট জায়গা সবুজায়ন করা হবে। এ ছাড়া ৩৫০ জন ধারণক্ষমতার একটি এবং ১৫০ জন ধারণক্ষমতার দুটি আলাদা এম্ফিথিয়েটার, থাকবে। মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ও চারু এন্টারপ্রাইজ জে ভি নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এর কাজ করছে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম এবং কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।