মহানগর আদালতে জামিন পাননি রুহুল কুদ্দুস

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতফাইল ছবি

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গণনা নিয়ে হট্টগোল ও মারামারির মামলায় আইনজীবী রুহুল কুদ্দুসের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম আজ সোমবার এই আদেশ দেন।

রুহুল কুদ্দুসের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, রুহুল কুদ্দুসকে ৯ মার্চ গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাঁকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে পুলিশ। একই দিনে রুহুল কুদ্দুসের জামিন আবেদন করা হয়। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত সেই আবেদন নাকচ করে তাঁর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ঢাকার সিএমএম আদালতের ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করা হয়। আজ সোমবার সেই জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত।

ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের জামিন আবেদন নাকচের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে শিগগির হাইকোর্টে আবেদন করা হবে।

এদিকে ওই হট্টগোল ও মারামারির ঘটনায় ৮ মার্চ রাতে গ্রেপ্তার সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহমেদসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। অপর চারজন হলেন আইনজীবী ওসমান চৌধুরী, হাসানুজ্জামান, তরিকুল ইসলাম ও এনামুল হক। পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আজ এই পাঁচজনকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দুই দিনের ভোট গ্রহণ ৭ মার্চ সন্ধ্যায় শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও ভোট গণনা নিয়ে পরদিন ভোরের দিকে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও মারধরের ঘটনা ঘটে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ওই দিন ভোট গণনা বন্ধ হয়ে যায়।

হট্টগোল ও মারধরের ঘটনায় ৮ মার্চ বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ (এস আর সিদ্দিকী সাইফ)। মামলায় তাঁকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনেন সাইফুর রহমান। সেখানে আইনজীবী নাহিদ সুলতানাকে (যুঁথী) প্রধান আসামি এবং রুহুল কুদ্দুসকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়।

রুহুল কুদ্দুসের মুক্তি দাবিতে মানববন্ধন

এদিকে রুহুল কুদ্দুসসহ গ্রেপ্তার আইনজীবীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে আইনজীবীদের একটি অংশ। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ আইনজীবী ব্যানারে আজ সোমবার সমিতির মূল ভবনের সামনে এ মানববন্ধন হয়।

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে আইনজীবী মহসিন রশিদ, শামীমা দীপ্তি, তৌফিক ইনাম, মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান, কাজী আখতার হোসেন ও মাহদীন চৌধুরী বক্তব্য দেন। সঞ্চালনায় ছিলেন আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন।