জকসু নীতিমালা প্রকাশসহ ৮ দফা দাবি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
তিন কার্যদিবসের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (জকসু) নীতিমালা ও নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ, ফ্যাসিস্ট হামলাকারী ও ইন্ধনদাতাদের বিচারসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ দাবি জানান।
তাঁদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে, জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের সব অ্যাকাডেমিক ফি মওকুফ করা, গত ১৫ বছরে সব নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছ তদন্ত ও প্রতিবেদন প্রকাশ করা। দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত সম্পন্ন ও অগ্রগতির প্রকাশ এবং ২০ কার্যদিবসের মধ্যে সব দুর্নীতির শ্বেতপত্র উপস্থাপন। শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন। ১৫ দিনের মধ্যে দুটি হলের নির্মাণকাজ শুরু করা। আবাসন বৃত্তি প্রদান ও আনুপাতিক বাজেট বরাদ্দকরণ, সমাবর্তন আয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র নওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান বৈষম্য, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার শিক্ষার্থীরা। তবুও যথাযথ প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের উত্থাপিত দাবিসমূহের পুঙ্খানুপুঙ্খ বাস্তবায়ন এবং প্রশাসনের সর্বশেষ উদ্যোগের ভিত্তিতে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক মেহেদী হাসান বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবির বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিলেও ছিটেফোঁটাও বাস্তবায়ন করে নাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এখনো জকসু নীতিমালা প্রণয়ন শেষ করতে পারেনি। আমরা আগামী তিন দিনের মধ্যে জকসু রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নেতা কিশোর সাম্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সিফাত হাসানসহ সংগঠন দুটির অন্যান্য নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।