ফাঁকা ঢাকায় ঈদ আনন্দে মেতেছে রাজধানীবাসী
ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন ফাঁকা রাজধানীতে ঘুরতে বের হয়েছেন নগরবাসী। বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়। জাতীয় চিড়িয়াখানা, সংসদ ভবন এলাকার জিয়া উদ্যান, রমনা পার্ক ও হাতির ঝিল এলাকা ছিল মানুষের পদচারণে মুখর।
আজ রোববার রাজধানীর এসব এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব বিনোদনকেন্দ্র, উদ্যান ও পার্কে কেবল রাজধানী ঢাকার লোকজনই নয়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দর্শনার্থীরাও মেতেছিলেন ঈদ আনন্দে।
সংসদ ভবনের সামনে পরিবারের সদস্যদের ছবি তুলছিলেন রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে আসা ব্যবসায়ী মঞ্জুরুল আলম। স্ত্রী, বড় ছেলে ও তাঁর স্ত্রী, নাতি-নাতনিসহ পরিবারের সাত সদস্য সংসদ ভবন এলাকায় ঘুরতে এসেছেন।
মঞ্জুরুল আলম প্রথম আলোকে জানান, কিছুদিন আগেও তিনি সংসদ ভবন এলাকায় এসেছিলেন। তবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে আজ আবার অনেক বছর পর এসেছেন। এই এলাকার মুক্ত পরিবেশ, মুক্ত বাতাস তাঁর ভালো লাগে।
রাজধানীর মিরপুর থেকে একসঙ্গে ১০ বান্ধবী ঘুরতে আসেন জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায়। তাঁদের একজন সাদিয়া আফরিন সাইফা। সাইফা রাজধানীর মিরপুর কলেজের শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘প্রায় সময় ঘুরতে বের হই। ঈদ উপলক্ষে আজ সব বান্ধবীকে নিয়ে বের হলাম। এই এলাকা এমনিতে ভালো লাগার। সবাইকে নিয়ে ঘুরছি, মজা করছি।’
ঝালকাঠি থেকে স্ত্রী তনুশ্রী সমাদ্দার এবং মেয়ে শুভশ্রী ও রাজশ্রীকে নিয়ে প্রথমবারের মতো জিয়া উদ্যানে ঘুরতে এসেছেন রাজীব হালদার। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন তাঁরা।
রাজধানীর হাতির ঝিলের পুলিশ প্লাজা এলাকায় কথা হয় বিটিসিএল স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাহিয়ান আজাদের সঙ্গে। নাহিয়ান জানায়, রাজধানীর মধুবাগ থেকে চাচাতো-মামাতো ভাইবোন মিলে আটজন হাতির ঝিল এলাকায় ঘুরতে এসেছে। অন্য সময় তেমন সুযোগ না পেলেও ঈদের ছুটিতে নিজেদের মতো করে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ঈদের দ্বিতীয় দিন চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। পরিবার–পরিজন নিয়ে অনেকে ঘুরতে আসেন। বিশেষ করে পশুপাখিসহ বিভিন্ন প্রাণী দেখে বেশ উচ্ছ্বসিত ছিল শিশু–কিশোরেরা।
চিড়িয়াখানায় প্রবেশের টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আজ ৩০ হাজারের বেশি দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করেছেন। তবে অন্যান্য ঈদের তুলনায় এ সংখ্যা কিছুটা কম।