এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় বিভিন্ন ভবনমালিককে ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত উত্তরা, কল্যাণপুর, আগারগাঁও, কুড়িলসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালান। সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশকনিধন অভিযানের দ্বিতীয় দিন আজ বৃহস্পতিবার ১৫টি মামলা করে এ জরিমানা করা হয়।
ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এডিস মশা নিধনে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভিন্ন অঞ্চলে একযোগে এ অভিযান চালান। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হবে।
অভিযানে ঢাকা উত্তর সিটির অঞ্চল-৫–এর আওতাধীন আগারগাঁও এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবনে এডিস মশার প্রচুর লার্ভা পাওয়া যায়। এ সময় সিটি করপোরেশনের কর্মীরা ওষুধ ছিটিয়ে মশার লার্ভা ধ্বংস করেন। পরে একটি মামলার মাধ্যমে ওই ভবনের মালিককে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অঞ্চল-৫–এর নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, নির্মাণাধীন ওই ভবনের নিচতলা ও বেজমেন্টে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। গত বছরও নির্মাণাধীন ওই ভবনে এডিস মশার লার্ভা থাকায় জরিমানা করা হয়েছিল।
ঢাকা উত্তর সিটির অঞ্চল-১–এর আওতাধীন কুড়িল এলাকায় তিনটি মামলায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়ন প্রথম আলোকে বলেন, নির্মাণাধীন দুটি ভবনে মালিক পাওয়া যায়নি। ভবনের রক্ষণাবেক্ষণকারী দোষ স্বীকার করলেও জরিমানা দিতে পারেননি। তাই নিয়মিত মামলা করা হয়। অন্য একটি মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, একটি বাড়ির মালিক দুষ্টু প্রকৃতির, পাত্তা দেন না। এর আগে তাঁকে দুবার জরিমানা করেও লাভ হয়নি। তাই এবার সরাসরি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
অঞ্চল-২–এর রূপনগর এলাকায় একটি মামলায় ৫০ হাজার টাকা, অঞ্চল-৩–এর তিনটি নির্মাণাধীন ভবনে ৬০ হাজার টাকা, অঞ্চল-৪–এর আওতাধীন এলাকায় একটি মামলায় দুই লাখ টাকা, ৬ নম্বর অঞ্চলের উত্তরা-১৩ নম্বর সেক্টর এলাকায় তিনটি নির্মাণাধীন ভবনের মালিককে দুই লাখ টাকা, অঞ্চল-৯–এর খিলবাড়িটেক এলাকায় তিনটি বাড়িতে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিভিন্ন অঞ্চলে সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবেদ আলী, সাজিয়া আফরীন, জিয়াউল বাসেত, আবদুল্লাহ আল বাকী, জিয়াউর রহমান অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এ সময় নগরবাসীকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করাসহ বাসাবাড়ি, নির্মাণাধীন ভবন, ফাঁকা প্লট, নালা ও ঝোপঝাড়ে অভিযান চালানো হয়।
এ ছাড়া রাজধানীর কুড়িল এলাকায় একটি বাড়ি ও দুটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলেও মালিক না পেয়ে নিয়মিত তিনটি মামলা করা হয়। আগারগাঁও এলাকায় রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে রাখায় এক রেস্তোরাঁর মালিককে একটি মামলার মাধ্যমে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।