কলেরার দ্বিতীয় ডোজের টিকা শুরু আজ থেকে

আন্তর্জাতিক উদারময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)

রাজধানীতে দ্বিতীয় ডোজ কলেরার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আজ বুধবার থেকে। টিকা দেওয়া হবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। ঢাকার যাত্রাবাড়ী, সবুজবাগ, দক্ষিণখান, মিরপুর ও মোহাম্মদপুরের প্রথম ডোজ কলেরার টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের দ্বিতীয় ডোজ কলেরার টিকা দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে আইসিডিডিআরবির সহযোগিতায় প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত টিকাদান চলবে। গত সোমবার আইসিডিডিআরবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যাঁরা গত ২৬ জুন থেকে ২ জুলাইয়ের মধ্যে প্রথম ডোজ কলেরার টিকা গ্রহণ করেছেন, তাঁরা নিজ নিজ টিকাদানকেন্দ্রে টিকা কার্ড দেখিয়ে দ্বিতীয় ডোজ কলেরার টিকা নিতে পারবেন। তবে ৫ আগস্ট (শুক্রবার) ও ৯ আগস্ট (আশুরার দিন মঙ্গলবার) টিকাদান হবে না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর রোগনিয়ন্ত্রণ প্রোগ্রাম অধ্যাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, যাঁরা প্রথম ডোজ কলেরার টিকা নিয়েছেন, তাঁরা অবশ্যই দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ করে নিজেদের এ রোগ থেকে সুরক্ষা করবেন।

আইসিডিডিআরবির সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ও ইনফেকশাস ডিজিজেস ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র ডিরেক্টর ফেরদৌসী কাদরী বলেন, সবার প্রতি অনুরোধ, কলেরার টিকা গ্রহণ করার পাশাপাশি নিজেকে ও প্রিয়জনদের অন্যান্য রোগ প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম, যেমন নিরাপদ পানির ব্যবহার, নিরাপদ পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা ও ব্যক্তিগত পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করবেন এবং ডায়রিয়াসহ অন্যান্য সংক্রমক রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকবেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার ইউবায়োলোজিক্স কো. লিমিটেডের তৈরি ইউভিকল প্লাস নামের কলেরার টিকা এক বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সীদের প্রদান করা হবে। এই টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত। গর্ভবতী নারী এবং যাঁরা গত ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনো টিকা গ্রহণ করেছেন, তাঁরা ছাড়া সবাই এ টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। এই টিকা নেওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনো টিকা নেওয়া যাবে না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সার্বিক সহায়তায় আইসিডিডিআরবি কলেরার টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এই কর্মসূচিতে আরও সহায়তা করছে জাতীয় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও এমএসএফ। দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স, গ্যাভি-র আর্থিক সহায়তায় এ টিকাদান উদ্যোগ পরিচালিত হচ্ছে। প্রায় ৭০০টি টিকাদানকেন্দ্রের মাধ্যমে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।