রাজধানীতে এক মানববন্ধনে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রীরা বলেছেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো অবরোধে গাড়ি পোড়াচ্ছে, মানুষ মারছে, দোকানপাট ভাঙছে। এসব বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত মহিলা আওয়ামী লীগ রাজপথে থাকবে, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেবে।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন হয়। ‘বিএনপি-জামায়াতের নৃশংস বর্বরতা রুখে দাঁড়াও নারী সমাজ’ শীর্ষক এই মানববন্ধনের আয়োজক মহিলা আওয়ামী লীগ।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান। তিনি বলেন, যারা নির্বাচন ভন্ডুল করে ভিন্ন পথে ক্ষমতায় আসতে চায়, তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সংলাপ হবে না। সমাধান সংবিধানেই দেওয়া আছে।
সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে। যারা নির্বাচনে আসবে, তাদের অভিনন্দন। যারা আসবে না, তাদেরও অভিনন্দন। কারও নির্বাচনে আসার অধিকার আছে। না আসারও অধিকার আছে।
আবদুর রহমান আরও বলেন, শান্তিপ্রিয় মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আগুন-সন্ত্রাস করার চেষ্টা করলে ঘরে ঘরে তল্লাশি চালিয়ে তাদের খুঁজে বের করা হবে। সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
জনগণের অধিকার আদায়ে মাঠে আছেন বলে উল্লেখ করেন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি। তিনি বলেন, নির্বাচন বানচালের জন্য বিএনপি-জামায়াত পেট্রলবোমা মেরে সাধারণ মানুষ হত্যা করেছে। এতে নারী-শিশু কেউ বাদ যায়নি। গত ২৮ অক্টোবর থেকে সেই একই অবস্থা দেখছেন তাঁরা।
মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভানেত্রী নাসিমা ফেরদৌসী বলেন, প্রতিটি এলাকা, মহল্লায় তাঁরা আছেন। আজকে অবরোধ দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁরা জনগণকে ধন্যবাদ জানান। কারণ, জনগণ গাড়ি চালাচ্ছে। শান্তিতে বাসে চলতে পারছে। তাঁরা জনগণের জন্য রাজপথে আছেন। জনগণের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, কেউ যাতে গাড়িতে আগুন দিতে না পারে, সে জন্য তাঁরা অতন্দ্রপ্রহরীর মতো রাজপথে আছেন।
সাবেক সংসদ সদস্য সাহেদা তারেক দীপ্তি বলেন, যত দিন পর্যন্ত রাজপথে মানুষ পুড়িয়ে মারা বন্ধ না হবে, দোকানপাট ভাঙা বন্ধ না হবে, তত দিন পর্যন্ত তাঁরা রাজপথে থাকবেন।
বিএনপি ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের দিন মহিলা আওয়ামী লীগের ওপর হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ করেন সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক নার্গিস খান। এই সংসদ সদস্য বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঠিক করার জন্য মহিলা আওয়ামী লীগই যথেষ্ট।