শ্রম আদালতে মামলার দীর্ঘসূত্রতায় বিচার অধরা

চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ এলাকায় অবস্থিত শ্রম আদালত
ফাইল ছবি

বর্তমানে দেশে শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান দ্রুত বাড়ছে। শিল্পের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে শিল্প বিরোধও বেড়েছে। তবে শ্রম আদালতগুলোয় মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণে অনেকের পক্ষে মামলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই তাঁরা আইনি প্রতিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। 

শনিবার রাজধানীতে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এবং সেইফটি এন্ড রাইটস সোসাইটির (এসআরএস) এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

সভায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. ফারুক (এম ফারুক) বলেন, শ্রম আদালতের সংখ্যা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি আদালতে লোকবলও বাড়াতে হবে। আরেকটি বিষয় জরুরি। শ্রম আদালতের রায় কার্যকর করার জন্য মালিকপক্ষের সদিচ্ছা থাকতে হবে।

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে বিচারিক কাজে স্বচ্ছতা আনা সম্ভব। আর আদালতের সমন জারিতে ই-মেইলের ব্যবহার বিচার ব্যবস্থায় গতিবৃদ্ধি করতে পারে।

ঢাকার দ্বিতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুরুল ইমাম বলেন, আদালতে প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়ানো ও দক্ষ লোকবল বৃদ্ধি করতে হবে। মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবীদের কাজের জবাবদিহি বাড়াতে হবে। আর মামলার রায় বাস্তবায়নে সবপক্ষের সদিচ্ছা বাড়ানোও জরুরি।

আরও পড়ুন

শ্রম সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি বাংলাদেশ শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান বক্তারা। তাঁদের মতে, ই-জুডিশিয়ারি কার্যক্রম শ্রম আদালত অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শ্রম মামলার বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণসহ মামলার পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের সংখ্যাও বাড়াতে হবে।

এ ছাড়া বিচারকদের প্রশিক্ষণে শ্রম আইন অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তোলেন বক্তারা। তাঁরা শ্রমিক আইন সহায়তা সেলের সঙ্গে প্যারা–লিগ্যাল কার্যক্রমের সমন্বয়ে আইন সহায়তা সহজ করার দাবি জানান।

আরও পড়ুন

মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্লাস্টের আইনজীবী সিফাত-ই-নুর খানম, এসআরএসের সহকারী আইন কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান শেখ মেরিনা সুলতানা, আইনজীবী সেলিম আহসান খান, ব্লাস্টের উপপরিচালক (আইন) বরকত আলী, আইনজীবী শারমিন সুলতানা, ট্যানারি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, বিজিএমএর অতিরিক্ত সচিব (শ্রম)  রফিকুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ।

আরও পড়ুন