প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য সহজলভ্য স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবন, ৫ প্রতিযোগী পুরস্কৃত
প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য নিরাপদ ও সহজলভ্য স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবনের জন্য পাঁচজনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস ২০২৫ উপলক্ষে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
‘আসুন, সবাই একসাথে গড়ি মাসিক–বান্ধব পৃথিবী’ প্রতিপাদ্যে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ, কিম্বারলি ক্লার্ক ও এমএইচএম প্ল্যাটফর্ম।
প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন নয়জন। তাঁদের সবাইকে অনুষ্ঠানে সম্মাননা ক্রেস্ট ও উপহার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বি-স্ক্যানের সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুব। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী নারীর বিষয়টা আসলে অনেকেই বুঝতে পারেন না। মাসিকের সময় প্রতিবন্ধিতার ধরনের ভিত্তিতে তাঁদের চ্যালেঞ্জগুলো ভিন্ন হয়ে থাকে। তাঁদের জন্য মাসিকের এসব পণ্যের ঘাটতি রয়েছে। সেই জায়গা থেকেই বি-স্ক্যান এই প্রতিযোগিতার আয়োজনের চিন্তা করে।
অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা বক্তব্যে বি-স্ক্যানের পরিচালক ইফতেখার মাহমুদ বলেন, প্রতিবন্ধী নারীদের মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় উদ্ভাবনী চিন্তা ও বাস্তবভিত্তিক সমাধানই এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য। ওয়াটারএইডের সহায়তায় ২০১৬ সালে বি-স্ক্যান প্রথমবারের মতো প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য এমএইচএম ডে উদ্যাপন শুরু করে। ১০ বছর পর তাদের সহায়তাতেই এই প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়েছে। এটি একটি বড় অগ্রগতি।
এ ছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আইসিডিডিআরবির এনভায়রনমেন্টাল হেলথ অ্যান্ড ওয়াশের লিড ডা. মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত মাসিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। সে জন্য দরকার সুষ্ঠু পরিকল্পনা এবং কর্মসূচি। প্রান্তিক নারীদের জন্য দরকার অভিগম্য ও সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য পৌঁছে দেওয়া। এ জন্য এমএইচএম প্ল্যাটফর্ম সরকারি-বেসরকারি অংশীজনদের নিয়ে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পরিচালক (প্রোগ্রামস অ্যান্ড পলিসি অ্যাডভোকেসি) পার্থ হেফাজ সেখ। তিনি প্রতিযোগিতার উদ্ভাবিত পণ্যের পেটেন্ট নেওয়ার অনুরোধ করেন।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (এনসিআরএইচ) ডা. সোহেল হাবীব, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর পরিচালক (যুগ্ম সচিব) নাঈমা হোসেন বক্তব্য দেন।
প্রতিযোগিতার সার্বিক পরিকল্পনা ও কার্যক্রম তুলে ধরেন বি-স্ক্যানের সহযোগী সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান। আর বাংলা ইশারা ভাষায় দোভাষীর দায়িত্ব পালন করেন আরিফুল ইসলাম।