অবিলম্বে দৈনিক দিনকাল খুলে দিন, না হলে চড়া মূল্য দিতে হবে

দৈনিক দিনকাল পত্রিকা খুলে দেওয়ার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন সাংবাদিক নেতারা
ছবি: প্রথম আলো

দৈনিক দিনকাল পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করায় সরকারকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। অবিলম্বে পত্রিকাটি খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা এসব কথা বলেন। ডিক্লারেশন ফিরিয়ে না দিলে আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ার কথাও জানান তাঁরা।

দৈনিক দিনকাল পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে দৈনিক দিনকাল ইউনিট। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রেজওয়ান সিদ্দিকী, দিনকালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, বিএফইউজে’র মহাসচিব নুরুল আমিন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি মোরসালীন নোমানীসহ অন্যরা।

সভাপতিত্ব করেন দিনকালের ইউনিট প্রধান আবদুল্লাহ জেয়াদ। রেজওয়ান সিদ্দিকী বলেন, সরকার ভিন্নমতকে সহ্যই করতে পারছে না। ভিন্নমতের পত্রিকা দেখলেই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এই যে ভারতের আদানি গ্রুপের কাছ থেকে তিন গুণ বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনছে সরকার, কোনো সংবাদপত্র তা লিখছে না। কিংবা লিখতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু দিনকাল পত্রিকা তা লিখেছে।

আমাদের পত্রিকা সত্য প্রচার করছিল। সরকার তা সহ্য করতে পারেনি। সে জন্য ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়েছে। ১৯৭৫ সালেও চারটি পত্রিকা রেখে বাকি সব পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।’

রেজওয়ান সিদ্দিকী বলেন, রাষ্ট্র বিক্রি হয়ে গেছে। রাষ্ট্রের স্বার্থও বিক্রি হয়ে গেছে। দিনকাল বন্ধ করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। রুহুল আমিন গাজী অবিলম্বে দৈনিক দিনকাল পত্রিকা খুলে দেওয়ার দাবি করে বলেন, এটি না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন তাঁরা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার, গণতন্ত্র ও সংবাদপত্র একসঙ্গে চলতে পারে না।

দলটি ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। দিনকাল বন্ধ করে দেওয়ায় পত্রিকাটির দেড় হাজার সংবাদকর্মীর রুটিরুজি বন্ধ হয়ে গেছে। তাঁদের মাঠে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। দিনকাল বন্ধ করে দেওয়ায় সরকারকে চড়া মূল্য দিতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাব থেকে হাইকোর্টের সামনে পর্যন্ত মিছিল বের করেন তাঁরা। মিছিল নিয়ে সেখান থেকে প্রেসক্লাবের ভেতরে ফিরে এসে ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনকালের সারা দেশের ইউনিটে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেন সাংবাদিক নেতারা।