ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের টাকা ডাকাতি: জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে

ডাকাতির পর উদ্ধার হওয়া ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের টাকা তুরাগ থানায় হিসাব করা হচ্ছে
ছবি: সংগৃহীত

ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংকের টাকা ডাকাতির সঙ্গে জড়িত কয়েজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) জানিয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে তুরাগ থানায় হওয়া ডাকাতির মামলাটি আজ শনিবার সন্ধ্যায় ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংকের ডাকাতির ঘটনায় কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ধরতে ডিবির একাধিক দল সিলেট ও সুনামগঞ্জে অভিযান চালাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, ডিবি অভিযান চালিয়ে ডাকাতি হওয়া বাকি পাঁচ কোটি টাকার বেশি উদ্ধার করতে সক্ষম হবে। এর আগে ডাকাতদের ফেলে যাওয়া তিনটি ট্রাংক থেকে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।  

গত বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে রাজধানীর উত্তরায় ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে। ১০-১২ জনের ডাকাত দলটি ভাড়া করা মাইক্রোবাসে এসে সিকিউরিটি কোম্পানি মানি প্ল্যান্ট লিংক (প্রাইভেট) লিমিটেডের গাড়ির গতিরোধ করে। এ সময় তাদের হাতে অস্ত্র ছিল না। তাদের একজন নিজেকে ডিবি পরিচয় দেয়। এরপর তারা গাড়িতে থাকা কর্মীদের চড়–থাপ্পড় ও ঘুষি মেরে টাকা ভর্তি চারটি ট্রাংক ছিনিয়ে নিজেদের গাড়িতে তুলে পালিয়ে যায়। ওই সব ট্রাংকে সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিল। ওই টাকা মিরপুর ডিওএইচএস থেকে ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের সাভারের ইপিজেড বুথে নেওয়া হচ্ছিল। এরপর ডাকাতেরা গাড়িচালককে বেঁধে নিজেদের দলের একজন সদস্য দিয়ে মাইক্রোবাসটি চালায়। এ সময় ট্রাংক থেকে বেশ কিছু টাকা ডাকাতেরা আলাদা করে ব্যাগে নিয়ে যায়।

এরপর ডাকাতেরা মাইক্রোবাসটি নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ঘোরাঘুরির পর একপর্যায়ে খিলক্ষেতে অভিজাত হোটেল লা মেরিডিয়ানের পাশের রাস্তায় থামে। সেখানে তারা মাইক্রোবাসের চালককে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বাঁধন খোলার সময় চালক চিৎকার দিলে ডাকাতেরা মাইক্রোবাসসহ তিনটি ট্রাংক ফেলে পালিয়ে যায়। পরে মাইক্রোবাসচালক ট্রাংকসহ মাইক্রোবাসটি আজিমপুরে তাঁর মালিকের কাছে যান। পরে মালিক ও চালক মাইক্রোবাসের তিনটি ট্রাংক নিয়ে খিলক্ষেত থানায় যান। সেখান থেকে ট্রাংক তিনটি তুরাগ থানায় নেওয়ার পর টাকা গণনা করে এতে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা পায় পুলিশ।

এদিকে গতকাল শুক্রবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মানি লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের ছয়জন কর্মী ও ডাকাতদের ভাড়া নেওয়া মাইক্রোবাসর চালককে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, সিকিউরিটি কোম্পানি মানি প্ল্যান্ট লিংক (প্রাইভেট) লিমিটেডের ছয় কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কোম্পানির পরিচালক আলমগীর হোসেনের জিম্মায় এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত গাড়ির চালককে গাড়ির মালিকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর ডাকাতির মামলাটি আজ সন্ধ্যায় তুরাগ থানা থেকে ডিবির কাছে স্থানান্তর করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার মামলার নথিপত্র ডিবিকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন