মালিবাগে অরক্ষিত রেললাইন, বাসে ট্রেনের ধাক্কা

ঢাকার মালিবাগ রেলগেটে সোহাগ পরিবহনের বাস এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে
ছবি: আশরাফুল আলম

রাজধানীর রামপুরার দিক থেকে ছেড়ে আসা সোহাগ পরিবহনের একটি বাস গতকাল বুধবার রাত নয়টার দিকে মালিবাগ রেলক্রসিংয়ে প্রতিবন্ধক দণ্ড না থাকায় সরাসরি রেললাইনে উঠে পড়ে। এ সময় কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি সোহাগ পরিবহনের বাসটিকে ঠেলে অন্তত ২০০ গজ দূরে নিয়ে যায়। বাসটিতে গাড়িচালক ও পরিবহনশ্রমিক ছাড়া কোনো যাত্রী ছিল না।

পুলিশ বলেছে, বাসটি সামনে ও পেছনের অংশ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেলেও কেউ হতাহত হননি।

দুর্ঘটনার পর উৎসুক জনতার ভিড়
ছবি: আশরাফুল আলম

সোহাগ পরিবহন রেললাইন থেকে সরিয়ে নেওয়ায় ব্যস্ত বাসটির একজন শ্রমিক রাতে প্রথম আলোকে বলেন, রেলক্রসিংয়ের গেটম্যান প্রতিবন্ধক দণ্ড না ফেলায় দ্রুতগতির বাসটি রেললাইনের ওপর উঠে যায়। বাসটিতে যাত্রী ছিল না। তাঁরা বাসটি গ্যারেজে রাখার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন।  

পুলিশের রমনা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (টহল) তরিকুল ইসলামও একই কথা বলেন।

রাতে মালিবাগ রেলক্রসিংয়ে দেখা যায়, দুর্ঘটনাস্থল রেললাইনের ওপর হাজার হাজার উৎসুক মানুষের ভিড়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার রেললাইন থেকে তাদের সরাতে হিমশিম খাচ্ছে। ট্রেনের সঙ্গে আটকে যাওয়া বাসটি রেললাইনের ওপর কাত হয়ে আছে। একপর্যায়ে সেটি ছাড়াতে চালক ট্রেনটি চালিয়ে কয়েক শ গজ পেছনের দিকে নিয়ে যান। রাত ১০টার দিকে বাসটি ছাড়াতে সক্ষম হয় ট্রেনটি। এরপর চালক দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি চালিয়ে রেললাইন পার হয়ে রামপুরা দিকে চলে যান। পরে রাত ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি পঞ্চগড়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। তখন আরেকটি ট্রেন মালিবাগ রেললাইন পার হয়ে কমলাপুরে দিকে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল।

ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, রাত ১০টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত সারা দেশের সঙ্গে রাজধানীর ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এরপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে মালিবাগের গেটম্যানকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।