মসজিদে নারীদের নামাজ পড়ার স্থানে রাতে ছাত্রীর ঘুমানোর ঘটনায় তদন্ত কমিটি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নারীদের নামাজ পড়ার স্থানে রাতে এক ছাত্রীর ঘুমিয়ে থাকার ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এ ছাড়া এই ঘটনায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত মসজিদের ইমামকে নামাজ না পড়ানোর জন্য মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আইনুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গতকাল সোমবার পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তদন্তের জন্য গতকাল সন্ধ্যায় দাপ্তরিক চিঠি পেয়েছেন। তদন্তের অংশ হিসেবে এখন তাঁরা সবার সঙ্গে কথা বলবেন। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেবেন।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম কাম খতিব তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটে ১৬ মে রাতে। এশার নামাজ শেষে মসজিদের ওপর অংশে থাকা নির্ধারিত বাসায় চলে যান ইমাম। পরে খাদেম ইমামকে জানান, নারীদের নামাজের স্থানে এক ছাত্রী ঘুমিয়ে আছেন। তাঁরা জিজ্ঞাসা করলে ছাত্রী জানান, তিনি হলে থাকেন। ইমাম বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানান। প্রক্টর বিষয়টি ছাত্রী হলে জানাতে বলেন। একই সঙ্গে সেখানে একজন সহকারী প্রক্টরকে পাঠান। পরে ছাত্রী হলের প্রভোস্টকে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি ছাত্রীকে হলে চলে আসার নির্দেশনা দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় তাঁকে জানানো হয়। তিনি ছাত্রী হলের দায়িত্বরত ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি জানাতে বলেন। পাশাপাশি একজন সহকারী প্রক্টরকে মসজিদে পাঠান। সহকারী প্রক্টর সেখানে পৌঁছানোর আগেই ছাত্রীকে হলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি নিয়ে প্রক্টর অফিস উপাচার্যের কাছে একটি প্রতিবেদন দেয়। এর আলোকে তদন্ত কমিটি হয়েছে।

প্রক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন আরও বলেন, ছাত্রী হয়তো পড়াশোনা করে ক্লান্ত হয়ে নামাজ শেষে সেখানে ঘুমিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু এত রাত পর্যন্ত একজন ছাত্রী মসজিদে রয়েছেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়িত্বে অবহেলাকে বোঝায়।

বক্তব্য জানতে ছাত্রী হলের প্রভোস্টের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হয়। কিন্তু সাড়া পাওয়া যায়নি।