রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনে পুড়ে যাওয়া মরদেহ চেনার উপায় নেই। তাই ডিএনএ পরীক্ষার পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, অগ্নিদগ্ধ চারজনের মরদেহ নিতে রেলওয়ে পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন পাঁচ ব্যক্তি।
ঢাকা রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেতাফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মরদেহ দেখে চেনার উপায় নেই। এখন পর্যন্ত পাঁচজন তাঁদের স্বজন নিখোঁজ বলে আবেদন জানিয়েছেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) মাধ্যমে মরদেহগুলোর ডিএনএ পরীক্ষা করে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
মরদেহ নিতে আবেদনকারীদের একজন চিকিৎসক দিবাকর চৌধুরী । তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বোন চন্দ্রিমা চৌধুরী রাজবাড়ী থেকে গতকাল বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ঢাকায় আসছিলেন। ঘটনার পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। দিবাকর আরও বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও আশপাশের হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে কোথাও বোনের সন্ধান মেলেনি।
রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনে দুই নারী, এক শিশুসহ অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত নয়টার দিকে চলন্ত ট্রেনটিতে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, যশোরের বেনাপোল থেকে ট্রেনটি ঢাকায় আসছিল। সায়েদাবাদ এলাকা অতিক্রম করার সময় ওই ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়। ট্রেনটি কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছার কিছুক্ষণ আগে গোপীবাগ এলাকায় থামানো হয়। আগুনে ট্রেনটির তিনটি কোচ পুড়ে গেছে।