আগুনে ২ কোটি টাকার মালামাল শেষ, কান্না থামছে না মিজানুর রহমানের

কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান
ছবি: প্রদীপ সরকার

বঙ্গবাজারের অ্যানেক্সো টাওয়ারের কাছে ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ির সামনে একজনকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছিলেন মো. মিজানুর রহমান। ওই লোক মিজানুর রহমানকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তাঁর কান্না থামছিল না।

সেখান থেকে কাঁদতে কাঁদতে হেঁটে রাস্তার একপাশে যাচ্ছিলেন মিজানুর রহমান। তাঁর আরাফাত শাড়ি হাউস নামে বঙ্গবাজারে একটি দোকান ও একটি গোডাউন এবং অ্যানেক্সো টাওয়ারে একটি কাপড়ের দোকান ছিল। তিনি একটি দোকানের মালও রক্ষা করতে পারেননি।

মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার সব শেষ। দুই কোটি টাকার ওপরে মাল ছিল। দুই ব্যাংক ও আত্মীয়স্বজনের কাছে এক কোটি টাকার ওপর ঋণ আছে।’

মিজানুর রহমান বলেন, ‘গতকাল আমি মাল কিনতে গেছিলাম গাউছিয়া। সেখানে আমার ছোট ভাইয়ের বাড়ি। সেখানেই ছিলাম রাতে। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে শুনি মার্কেটে আগুন লাগছে। সেখান থেকে এসে দেখি পুড়ে সব শেষ।’

তাঁর কান্না কোনোভাবেই থামছিল না। কান্নার ফাঁকে অল্প অল্প করে কথা বলছিলেন তিনি। মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘অ্যানেক্সো টাওয়ারের যে পাশে আগুন লেগেছে, সে পাশেই আমার দোকান। তাই অ্যানেক্সো টাওয়ারের মালও নামাতে পারি নাই।’

তাঁর বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে। মিজানুর রহমাম বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে মাল আনছি। আবার শীতের শাল দেড় মাস হলো গোডাউন করছিলাম। কিছু নাই সব শেষ। সব শেষ হয়ে গেছে।’

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। সকাল ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ৪১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। এরপর ৪৩টি ইউনিট যাওয়ার খবর জানায় ফায়ার সার্ভিস। সকাল সোয়া ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিস বলেছে, তাদের ৫০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে।

বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্মিলিত সাহায্যকারী দল, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সাহায্যকারী দল ও একটি হেলিকপ্টার কাজ করছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।