সাংবাদিক সৈয়দ আশফাকুল হকের জামিন
সাংবাদিক সৈয়দ আশফাকুল হক জামিন পেয়েছেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শাহজাহান রোডের একটি বহুতল ভবনে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে পড়ে এক গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় করা মামলায় বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
ওই মামলায় ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত গত ২২ মার্চ সৈয়দ আশফাকুল ও তাঁর স্ত্রীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তাঁরা। এর শুনানি নিয়ে গত ২২ এপ্রিল হাইকোর্ট তাঁদের জামিন প্রশ্নে রুল দেন। ওই মামলায় আবেদনকারীদের (সৈয়দ আশফাকুল ও তাঁর স্ত্রী তানিয়া খন্দকার) কেন জামিন দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে তানিয়া খন্দকারকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়। এরপর তানিয়া মুক্তি পান। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করে আজ রায় দেওয়া হয়।
আদালতে জামিন আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইয়াসমিন বিথী।
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট সৈয়দ আশফাকুল হককে জামিন দিয়েছেন। ফলে তাঁর কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই। আশফাকুল হকের স্ত্রী গত ২২ এপ্রিল অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান। রুল অ্যাবসলিউট হওয়ায় তাঁর জামিন চূড়ান্ত হলো।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি বহুতল ভবন থেকে পড়ে গৃহকর্মী প্রীতি ওঁরাও (১৫) মারা যায়। এ ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং বাসা থেকে গৃহকর্তা সৈয়দ আশফাকুল হক ও তাঁর স্ত্রী তানিয়া খন্দকারকে আটক করে মোহাম্মদপুর থানায় নিয়ে যায়। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেন প্রীতির বাবা। এরপর দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, সৈয়দ আশফাকুল হক ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। ২ এপ্রিল তাঁকে অব্যাহতির নোটিশ দেওয়া হয়।