বইমেলায় থাকছে ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠান

আজ মঙ্গলবার অমর একুশে বইমেলা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেলার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়ছবি: প্রথম আলো

এক দিন বাকি আছে অমর একুশে বইমেলার। ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে মাসব্যাপী এই মেলা। এবারের প্রতিপাদ্য,  ‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। এবারের মেলা হবে সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গাজুড়ে। মেলাটি এককভাবে পরিচালনা করছে বাংলা একাডেমি।

আজ মঙ্গলবার অমর একুশে বইমেলা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেলার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের মেলায় ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৭টি (একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি) প্যাভিলিয়ন থাকবে। এবার লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায়। সেখানে প্রায় ১৭০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘কালেক্টেড ওয়ার্কস অব শেখ মুজিবুর রহমান: ভলিউম-২’সহ কয়েকটি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন। সেই সঙ্গে ২০২৩ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিতরণ করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের মেলায় প্রবেশদ্বার থাকবে দোয়েল চত্বর, টিএসসি, মন্দির গেট ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ—এই চারটি।

সম্মেলনে মেলার বিস্তারিত তুলে ধরেন বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম। শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা এবং কে এম মুজাহিদুল ইসলাম। তাঁরা জানান, ধুলা কমাতে মাঠের কিছুটা অংশে ইট বিছানো হবে। এ বছর মোড়ক উন্মোচন এবং ‘লেখক বলছি’ মঞ্চকে এমনভাবে বানানো হচ্ছে, যেটা শুধু মঞ্চ নয়, ঝড়-বৃষ্টিতে প্রয়োজনে সেখানে আশ্রয় নিতে পারবেন মেলায় আসা মানুষেরা।

প্রকাশকদের জন্য পুরস্কার
অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ২০২৩ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগতমান বিচারে সেরা বইয়ের জন্য প্রকাশককে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার’ এবং ২০২৩ সালের বইমেলায় প্রকাশিত বইয়ের মধ্য থেকে শৈল্পিক বিচারে সেরা বই প্রকাশের জন্য ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’দেওয়া হবে। এ ছাড়া ২০২৩ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগত মান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে ‘রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার’ এবং এ বছরের মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে স্টলের নান্দনিক সাজসজ্জায় শ্রেষ্ঠ বিবেচিত প্রতিষ্ঠানকে ‘কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ প্রদান করা হবে। এবারের গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি প্রকাশ করছে নতুন ও পুনর্মুদ্রিত ১০০টি বই।

মেলা খোলা থাকবে যতক্ষণ
এবারের বইমেলা অধিবর্ষের বলে ২৯ দিন পাওয়া যাবে। ছুটির দিন ব্যতীত মেলা প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে আটটার পর মেলার প্রাঙ্গণে প্রবেশ করা যাবে না। ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার শিশুদের জন্য বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত শিশুপ্রহর থাকবে। আর সেদিন মেলা চলবে রাত নয়টা পর্যন্ত।

মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক সমীর কুমার সরকার। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মো. হাসান কবীর এবং বইমেলার সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশ লিমিটেডের সিএমও মীর নওবত আলী।