তুরাগ দখলে বাধা, বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর ‘হামলা’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)

তুরাগ নদ দখলে বাধা দেওয়ায় বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর রূপনগর এলাকায় নদের তীরে এ ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিচালক (ল্যান্ড অ্যান্ড এস্টেট) এ কে এম আরিফ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল এই সংস্থার চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ নৌপথ পরিদর্শনের অংশ হিসেবে তুরাগ নদে যান। এ সময় মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় নদের সীমানা পিলারের ভেতরের অংশ ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের কার্যক্রম দেখতে পান তিনি। পরে তিনি ও সংস্থার অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নদ ভরাটের প্রতিবাদ করলে সেখানে স্থাপনা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন মারমুখী আচরণ করেন।

এ কে এম আরিফ উদ্দিন আরও বলেন, এ ঘটনার পর চেয়ারম্যানের নির্দেশে এক্সকাভেটর দিয়ে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হলে ওই প্রতিষ্ঠানের লোকজন এক্সকাভেটর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর ইট–পাথর ছোড়েন। পরে রূপনগর থানায় অভিযোগ করা হয়।

‘অবৈধ স্থাপনা’ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটির নাম মেট্রো কোরিয়ার সার্ভিস লিমিটেড বলে জানান বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান। তাঁর অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী রিয়াজুল ইসলামের নির্দেশে ওই হামলা চালানো হয়েছে।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে রিয়াজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজে বাধা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কাউকে বাধা প্রদান বা হামলা করা হয়নি।

রিয়াজুল ইসলাম বলেন, যেখানে তিনি স্থাপনা নির্মাণ করছেন সেটি তাঁর কেনা জমি। ওই জায়গায় এখনো বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে নদীর সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়নি। সীমানা পিলার স্থাপনের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে মেট্রো কোরিয়ার সার্ভিস লিমিটেডের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। পরে মন্ত্রণালয় বিআইডব্লিউটিএকে সীমানা পিলার স্থাপনের নির্দেশনা দেয়। কিন্তু সেই কাজ না করে বিআইডব্লিউটিএ তাঁর বৈধ স্থাপনার একাংশ ভেঙে ফেলেছে। এ ব্যাপারে তিনি থানায় বিআইডব্লিউটিএর বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন বলে জানান।