তোশক থেকে বের হচ্ছিল রক্ত, ভেতরে বস্তাবন্দী লাশ

লাশপ্রতীকী ছবি

রশিতে প্যাঁচানো একটি তোশক থেকে বের হচ্ছিল রক্ত। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ তোশক খুলে ভেতরে মুখ বাঁধা বস্তা উদ্ধার করে। বস্তার ভেতর থেকে এক যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পরে জানা যায়, তিনি মারা গেছেন।

পুলিশ বলছে, যুবকের হাত–পা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন ছিল। হত্যার শিকার ওই যুবকের নাম হাবিবুর রহমান (২৮) বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের উত্তর গোড়ান এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দীন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে উত্তর গোড়ান আইসক্রিম ফ্যাক্টরির গলিতে রশি দিয়ে প্যাঁচানো একটি তোশক থেকে রক্ত বের হতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা খিলগাঁও থানাকে জানান। এ সময় পুলিশ এসে তোশক খুলে এর ভেতরে মুখ বাঁধা একটি বস্তা পায়। বস্তাটি খোলার পর এক যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া  হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে শনাক্ত করেন।

পুলিশ কর্মকর্তা সালাউদ্দীন মিয়া বলেন, হাবিবুর তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে মেরাদিয়া কমিশনার রোডের কসাইবাড়ি এলাকায় থাকতেন। তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন। তেমন কিছু করতেন না। তাঁর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের গোপালপুরে। ধারণা করা হচ্ছে, হাবিবুরকে হত্যা করে বস্তায় ঢুকিয়ে এবং তোশকে মুড়িয়ে কেউ ফেলে রেখে গেছে।

তদন্তকারী খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাত ১০টার দিকে হাবিবুর বাসা থেকে বেরিয়ে গিয়ে আর ফেরেননি। আজ সকালে তাঁর স্ত্রী হাবিবুরের হত্যাকাণ্ডের খবর জানতে পারেন।  

ঘটনাস্থল থেকে আলামত নিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি)। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।