ঘুষ লেনদেনের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একই সঙ্গে বাছিরের জামিন স্থগিত চেয়ে দুদকের করা আবেদনটি ৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
দুদকের করা মামলায় সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে জামিন চেয়েছিলেন বাছির। ১৭ নভেম্বর হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন তাঁকে। এ জামিন স্থগিত চেয়ে দুদক আবেদন করে, যা আজ চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। বাছিরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এইচ এম মুশফিকুর রহমান। পরে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। এ সময়ের মধ্যে দুদককে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে।
এর আগে ওই মামলায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত পৃথক দুটি ধারায় এনামুল বাছিরকে মোট আট বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
একই মামলায় বরখাস্ত পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে এক ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে এনামুল বাছির আপিল করেন, যা ১৩ এপ্রিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ৮০ লাখ টাকা জরিমানা স্থগিতের পাশাপাশি নথি তলব করা হয়। এরপর তাঁর জামিন চাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, দুদকের মামলা থেকে বাঁচিয়ে দিতে তৎকালীন ডিআইজি মিজানুরের কাছ থেকে বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়।
অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাছির কমিশনের দায়িত্বে থাকাকালে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তিনি মিজানুরকে অবৈধ সুযোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে তাঁর কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন।