দুই জঙ্গি ছিনতাই: সাত দিনের রিমান্ডে মেহেদী

জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি (২৪)
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার আদালতফটকের সামনে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফিকে (২৪) সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফ উদ্দিন।

আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ মামলায় গ্রেপ্তার মেহেদী হাসানকে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে পুলিশ। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত আসামির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আসামি মেহেদী হাসান জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। তিনি আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার সদস্য। তাঁর বাড়ি সিলেটে। ব্লগার নাজিমউদ্দীন সামাদ হত্যার মিশনেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি।

পুরান ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে মোটরসাইকেলে (তিনজন বসা পেছনের মোটরসাইকেল) করে তাঁদের সহযোগীরা পালিয়ে যাচ্ছেন বলে ধারণা তদন্ত সংশ্লিষ্টদের
ছবি: সংগৃহীত

এর আগে ২১ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১০ জনের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তাঁরা হলেন শাহীন আলম ওরফে কামাল, শাহ আলম ওরফে সালাউদ্দিন, বি এম মজিবুর রহমান, সুমন হোসেন পাটোয়ারী, আরাফাত রহমান, খাইরুল ইসলাম, মোজাম্মেল হোসেন, শেখ আবদুল্লাহ, আবদুর সবুর ও রশিদ উন্নবী ভূঁইয়া। এসব আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

আরও পড়ুন

গত রোববার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফটকে পুলিশকে মারধর ও চোখে পিপার স্প্রে ছিটিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যকে ছিনিয়ে নিয়ে যান জঙ্গিরা। তাঁরা হলেন মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব। ওই দুজনসহ ১২ আসামিকে সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সিএমএম) হাজতখানায় নেওয়া হচ্ছিল। ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গি জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এ ছাড়া আরও কয়েকটি হত্যা মামলারও আসামি তাঁরা।